করোনা সাময়িক, আবার আমরা ঘুরে দাঁড়াবো: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২০, ০৭:০৫ পিএম

করোনাভাইরাস আমাদের সব অগ্রযাত্রা সাময়িকভাবে থামিয়ে দিলেও সংকট কাটিয়ে আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আমি আশা করি- জনগণ এ থেকে বেরোতে পারবে, আবার আমরা এগিয়ে যাবো। এই সমস্যা শুধু বাংলাদেশের না, বিশ্বব্যাপী। কাজেই সবাই যেনো এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দেশব্যাপী এক কোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী ১ কোটি বৃক্ষের চারা রোপণের এ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে বনায়নে যেনো সবুজ বেষ্টনী সৃষ্টি হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এই কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে বৃক্ষরোপণ করে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। তার স্মরণে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি এবং আমরা এই পদক্ষেপ প্রতিবছরই নিচ্ছি।

সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি সবাইকে আহ্বান করবো, যে যেখানে আছেন আপনার যতোটুকু জায়গা আছে একটা গাছ লাগান। অথবা যারা শহরে থাকেন ছাদে বা বারান্দায় একটা টবে গাছ লাগান। যেভাবেই হোক একটু গাছ লাগালে ভালো লাগবে। মনটাও ভালো লাগবে। আর কিছুটা আপনার নিজের সচ্ছলতা আসবে আর নিজের হাতে লাগানো একটা গাছের একটা কাঁচামরিচ খেলেও কিন্তু ভালো লাগে। কাজেই সেইভাবে আমি আহবান করবো- আসুন আমরা সবাই মিলে গাছ লাগাই। আমাদের দেশটা একটা বদ্বীপ, এই দেশটাকে আমরা রক্ষা করি এবং দেশটাকে উন্নত করি।

তিনি বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশে বনায়ন সৃষ্টি। আমি যখন '৯৬ সালে সরকার গঠন করি তখন মাত্র সাত ভাগ বনায়ন ছিলো। আজ প্রায় ১৭ ভাগের বেশি আমরা করতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য সারা বাংলাদেশে ২৫ ভাগ বনায়ন করবো। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তাদের খাদ্য এবং অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার কথা চিন্তা করি। আমি নির্দেশনা দিয়েছি শুরু থেকেই যে তিনটা গাছ লাগাতে হবে। একটা ফলের গাছ। একটা কাঠের জন্য যেটা আর্থিক সচ্ছলতা আনবে। আরেকটা ভেষজ গাছ। অর্থাৎ যে গাছ দিয়ে নানা ধরনের ওষুধ তৈরি হয়, সেটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এই ধরনের গাছ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমি লাগিয়েছি একটা চালতা গাছ, তেঁতুল গাছ আর একটা ছাতিয়ান গাছ। ছাতিয়ান গাছ খুব বড় হয়। এর কাণ্ড খুব মোটা হয় এবং কাঠ হিসেবে খুব ভালো। সে জন্য ওটা লাগানো হয়েছে। আর তেঁতুলের শক্তি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটা যেমন কারো যদি প্রেসার থাকে সে প্রেসারের জন্য ভালো। তাছাড়া এমনিতে শরীর ঠাণ্ডা রাখে। তেঁতুল অনেক কাজে লাগে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশ থেকে তেঁতুলের জাতটা ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তবে এটার চাহিদা আছে। আর ফুচকা-চটপটি তো সবার খেতে ভালো লাগে। সে জন্য তেঁতুল সবসময় দরকার। সে জন্য আমি তেঁতুল গাছের ওপর একটু জোর দিয়েছি। আর চালতাটাও। চালতার পাতাগুলো যেমন সুন্দর দেখতে ফুল আরও সুন্দর। চালতার আবার অনেকগুণ রয়েছে। ডালে চালতা দিয়ে খেতে তো এমনি মজা লাগে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh