জমে উঠেছে হাড়িভাঙ্গা আমের বাজার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২০, ০৮:৫৭ পিএম

ছবি: লালমনিরহাট প্রতিনিধি

ছবি: লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রতি বছরের মতো এবারো লালমনিরহাটে জমে উঠেছে হাড়িভাঙ্গা আমের বাজার। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে জেলার বাইরে আম পরিবহণ কম হওয়ায় স্থানীয় বাজারে হাড়িভাঙ্গা আম ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে। 

প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন মোড়ে, গ্রাম-গঞ্জের হাট বাজারে ও রাস্তার ধারে হাড়িভাঙ্গা আম নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারাও ভিড় করছেন, কিনছেন নিজেদের পছন্দমতো।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৩০০ হাড়িভাঙ্গা আমের বাগান আছে। প্রতিটি বাগান এক একর থেকে পাঁচ একর পর্যন্ত। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও হয়েছে আশানুরূপ।

আম ব্যবসায়ী সাহেদুল ইসলাম বলেন, তিনিসহ অনেক আম ব্যবসায়ী রংপুর থেকে আম নিয়ে আসেন লালমনিরহাটের বাজারে, দিনভর আম বিক্রি করেন। হাড়িভাঙ্গা আম বিক্রি করতে এসে কোনোদিন ফেরত নিয়ে যেতে হয়নি। বাইরে আম পাঠানোর পরিমাণ কম, তাই তারা এ বছর হাড়িভাঙ্গা আমের ভালো ব্যবসা করতে পারছেন না। তবে স্থানীয় বাজারে হাড়িভাঙ্গার চাহিদা অনেক।  

আম কিনতে আসা আমিনুরুল ইসলাম বলেন, তার পরিবারের সবাই এই হাড়িভাঙ্গা আম খুব পছন্দ করেন। তাই আমের মৌসুমে এ আমই সবচেয়ে বেশি কেনা হয়।

কথা হয় আরেক ক্রেতা ফজলু মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, গেল বছরের তুলনায় এ বছর কেজিতে ৮-১০ টাকা কমে হাড়িভাঙ্গা আম পাওয়া যাচ্ছে। গতবছর এ সময় প্রতি কেজি আম ৪৫-৬০ টাকা দরে কিনতে হয়েছিল। তবে এ বছর সেই আম ৩৫ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর পছন্দমতো আকারের আমও মিলছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার বিশবাড়ি এলাকায় হাড়িভাঙ্গা আমের বাগান মালিক হবিবর রহমান বলেন, বাগানের আম বিক্রি করে গেল বছরের তুলনায় দাম কিছুটা কম পেয়েছেন এ বছর। তবে আম চাষ করে তিনি লাভবান হয়েছেন।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামিম আশরাফ বলেন, বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে হাড়িভাঙ্গা আম বাজার দখল করে নিয়েছে। গেল কয়েক বছর ধরে এ আমের প্রতি মানুষের চাহিদা বেড়েছে অনেকগুণ। আম চাষিদের কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কখন কীভাবে পরিচর্যা নিতে হবে সে ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষি বিভাগের লোকজন কৃষকদের জানিয়ে থাকেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh