ভার্চ্যুয়াল আদালত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২০, ০৪:০২ পিএম
দেশে করোনারভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে শুরু হওয়া ভার্চ্যুয়াল আদালত গত ৫০ কার্যদিবসে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৯টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করে ৬৭ হাজার ২২৯ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ মে থেকে শুরু হয়ে বিগত ৫০ কার্যদিবসে সারাদেশে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে পরিচালিত অধস্তন আদালতে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৯টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে।
এর মধ্যে ৬৭ হাজার ২২৯ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। যেখানে জামিনপ্রাপ্ত শিশু রয়েছে ৭৫৫ জন। অন্যদিকে দেশের অধস্তন আদালতে ৪ হাজার ৩১০টি মামলায় আত্মসমর্পণ আবেদন নিষ্পত্তি করে ১১ হাজার ৭৯৬ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। আর জামিন নামঞ্জুর করে ৯৩৮ জন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে এরই মধ্যে বেশ কিছু জামিন আদেশ হয়েছে।
এর আগে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকে আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক আইনজীবী ভার্চ্যুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য সোচ্চার হন। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ‘ফুল কোর্ট সভা’ থেকে ভার্চ্যুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারির জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।
সেই প্রেক্ষাপটে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিকে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে “আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০” নামে গত ৯ মে একটি অধ্যাদেশ জারি করেন (বর্তমানে যেটি আইন) রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।
এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে গত ১০ মে ভার্চ্যুয়াল আদালত সংক্রান্ত কয়েকটি নির্দেশনা জারি করা হয়। যেখানে ভার্চ্যুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগ এবং অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের জন্য আলাদা আলাদা ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ দেয়া হয়। এছাড়া আইনজীবীদের জন্য প্রকাশ করা হয় ‘ভার্চ্যুয়াল কোর্টরুম ম্যানুয়াল’।
এরই ধারাবাহিতায় করোনাভাইরাস কেন্দ্রিক সাধারণ ছুটি ও অবকাশকালীন ছুটি বা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দেশের অধস্তন আদালত, হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বেঞ্চ ও চেম্বার আদালতের বিচারিক কার্যক্রম ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে চলছে।