নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২০, ০১:১৪ পিএম | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২০, ০১:২৬ পিএম
করোনার প্রধান উপসর্গগুলো হলো জ্বর, কাশি, সর্দি, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়া, স্বাদ চলে যাওয়া ইত্যাদি। তবে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে রোগীর অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায়।
উপসর্গগুলো যদি মৃদু আকারে দেখা যায়, তাহলে ভয়ের কিছু নেই। মৃদু লক্ষণ যাদের দেখা যায়, তাদের এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যেই জ্বর চলে যায়। তবে কাশি আরও কিছুদিন থাকতে পারে।
চীনের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুস্থ হয়ে উঠতে গড়ে দুই-তিন সপ্তাহ সময় লাগে।
তবে কারো কারো সুস্থ হতে আরো বেশি সময় লাগে। মূলত যারা অন্যান্য রোগে আক্রান্ত তাদের করোনামুক্ত হতে সময় লাগে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর হয়ে যেতে পারে।
ইংল্যান্ড, ইতালি, আমেরিকা, জাপান ইত্যাদি দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্য-উপাত্ত এবং বিভিন্ন সাময়িকীতে প্রকাশিত নিবন্ধ বিশ্লেষণ করে কিছু বিষয় শনাক্ত করা হয়েছে, যার কারণে রোগীদের সুস্থ হতে দেরি হয়। পাঠকদের জন্য সেগুলো তুলে ধরা হলো:
১. বয়স্ক ব্যক্তিদের করোনা থেকে সেরে উঠতে কিছুটা সময় লাগে।
২. নারীদের তুলনায় পুরুষদের সেরে উঠতে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় লাগে।
৩. আমাদের দেশে করোনায় পুরুষের মৃত্যুহারও নারীর চেয়ে বেশি।
৪. সংক্রমণের শুরুতেই তীব্র লক্ষণ প্রকাশ পেলে তার সেরে উঠতে বেশ সময় লাগে।
৫. তীব্র উপসর্গ প্রকাশের পরও হাসপাতালে ভর্তি হতে দেরি করলে সুস্থ হতে সময় বেশি লাগে।
৬. হাসপাতালে দেরীতে গেলে শারীরিক নানা জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তখন সব সমস্যা সমাধান হতে সময় লাগে।
৭. নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) বা ভেন্টিলেটর সাপোর্ট লাগলে সুস্থ হতে বেশি সময় দরকার।
৮. উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, অ্যাজমা ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ হতে দেরি হতে পারে।
৯. স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের অতিরিক্ত প্রয়োগ কিংবা রোগের শুরু থেকেই অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারে সুস্থ হতে সময় লাগে। কারণ স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুলাংশে কমিয়ে দেয়।
১০. উপসর্গের তীব্রতা প্রকাশ না পেলেও ফুসফুস বেশি সংক্রমিত হলে সেরে উঠতে সময় বেশি লাগে।