করোনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সংকট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২০, ০৩:৪৭ পিএম

তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস

তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এখন পর্যন্ত যত ধরণের ব্যাধি নিয়ে বৈশ্বিকভাবে জরুরি অবস্থা জারি করেছে তার মধ্যে করোনাভাইরাসকেই সবচেয়ে মারাত্মক বলে ঘোষণা দিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস।

তিনি বলেন, সর্বশেষ পরিস্থিতি বিশ্লেষণের জন্য এ সপ্তাহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমারজেন্সি কমিটির সভা আহ্বান করবেন তিনি।

এর আগে আরো পাঁচবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৈশ্বিকভাবে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল- ইবোলা প্রাদুর্ভাব নিয়ে দুইবার, জিকা, পোলিও ও সোয়াইন ফ্লু।

জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে এক কোটি ৬০ লাখের বেশি কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং সাড়ে ছয় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে।

গতকাল সোমবার (২৭ জুলাই) সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় এক ব্রিফিংয়ে ড. তেদ্রোস বলেন,বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৩০ জানুয়ারি যখন আমি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করি, তখন চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল একশোরও কম এবং কোনো মৃত্যুও ছিল না। কভিড-১৯ আমাদের পৃথিবী বদলে দিয়েছে। এটি সারা দুনিয়ার সব মানুষ, কমিউনিটি আর সব জাতিকে এক জায়গায় নিয়ে এসেছে, আবার বিচ্ছিন্নও করেছে পরস্পরের থেকে।

তিনি আরো বলেন, কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা গত ছয় সপ্তাহে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বের কঠোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এখনো আমাদের সামনে দীর্ঘ কঠিন পথ পড়ে রয়েছে।

ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও বলেছে, সংক্রমণ প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদে ভ্রমণ বিধিনিষেধ বহাল রাখা কার্যকর পন্থা নয়। ভাইরাসের বিস্তৃতি ঠেকাতে বিশ্বের দেশগুলোকে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরার নির্দেশনার মতো ‘প্রমাণিত কৌশল’ অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে তারা।

ডা. তেদ্রোস বলেছেন, সীমান্ত বন্ধ করে, অর্থনীতি ক্ষতি সহ্য করে বিশ্বব্যাপী দীর্ঘদিন জরুরি অবস্থা জারি রাখা সম্ভব নয়।

ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তারা এখন থেকে যতটা সম্ভব কম সময়ের জন্য ও সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার মধ্যে লকডাউন সীমিত রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন। -বিবিসি

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh