ভ্যাকসিন জাতীয়করণে ধনী দেশগুলোকে সতর্ক করলো ডব্লিউএইচও

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২০, ০৬:৪০ পিএম

‘ভ্যাকসিন জাতীয়করণের’ বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, দরিদ্র দেশগুলো মহামারির জন্য উন্মুক্ত রেখে ধনী দেশগুলো নিজেদের জন্য ভ্যাকসিন সংরক্ষিত রেখে তারা করোনাভাইরাস মুক্ত নিরাপদ স্বর্গে পরিণত হবে না।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়োসিস বলেছেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর উৎপাদিত যে কোন ভ্যাকসিন বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার মাধ্যমেই ভাইরাস মোকাবেলায় ধনী দেশগুলোর স্বার্থ নিশ্চিত হবে।

জেনেভায় হু সদর দফতর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে আসপেন সিকিউরিটি ফোরামে রাখা বক্তব্যে টেড্রোস বলেন, ভ্যাকসিন জাতীয়করণ ভালো নয়, এটি আমাদের জন্য সহায়ক হবে না।

টেড্রোস আধানম বলেন, করোনা থেকে বিশ্বকে দ্রুত মুক্ত করতে হলে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কারণ এখন এটি বৈশিক, অর্থনীতি আন্ত:সম্পর্কযুক্ত। বিশ্বের কোন অংশ অথবা কিছু দেশ করোনা মুক্ত, নিরাপদ স্বর্গ হতে পারেনা।
কভিড- ১৯ এর কারণে ক্ষয়ক্ষতি তখনই কম হবে, যখন ধনী দেশগুলো এ খাতে বিনিয়োগ করবে।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, কভিড -১৯ মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরণের ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে। বর্তমানে ২৬টি ভ্যাকসিন হিউম্যান টেস্টে আছে, এর মধ্যে ৬টি টেস্টের তৃতীয় ধাপে রয়েছে।

হু’র জরুরি বিভাগের প্রধান মিশেল রায়ান বলেন, তৃতীয় ধাপে পৌঁছানো মানে এখানেই শেষ নয়, তৃতীয় ধাপে পৌঁছানোর মানে সাধারণ লোক অথবা স্বাস্থ্যবান লোকদের মধ্যে প্রথম ভ্যাকসিন প্রয়োগ এবং এটা দেখা যে ভ্যাকসিনটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লোকদের সুরক্ষা দেয় কি-না সেটা যাচাই করা।

বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পক্ষ থেকে আমরা কিছু ভালো ভ্যাকসিন পেয়েছি, ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে এসব ভ্যাকসিন ইমিউনিটি সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

মিশেল রায়ান বলেন, যদিও এই ছয়টি ভ্যাকসিনের কোন একটি আমাদের নিশ্চিত সুরক্ষা দেবে এমন নিশ্চয়তা নেই। এ জন্য আমাদের আরো ভ্যাকসিন প্রয়োজন।

এএফপির হিসাবে গত ডিসেম্বরে চীন থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরে এ পর্যন্ত বিশ্বে মোট ৭ লাখ ৮ হাজারের বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে, এবং ১ কোটি ৮৮ লাখ আক্রান্ত হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh