স্মার্টফোন ক্রয়ে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীর তালিকা তৈরির নির্দেশ

বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২০, ০৭:১৮ পিএম

মহামারি করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) পরিস্থিতির মধ্যে অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে স্মার্টফোন ক্রয়ে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীর তালিকা চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।

রবিবার (৯ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ অনুরোধ করা হয়েছে।

করোনার কারণে ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ। এ জন্য সম্প্রতি অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা ঠিকমতো কার্যকর হচ্ছে না। কারণ অনেকের ডিভাইস নেই বা ইন্টারনেট খরচ বহন করার সামর্থ্য নেই। এ জন্য ইউজিসি এ উদ্যোগ নিয়েছে।

এ বিষয়ে ইউজিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালসমূহ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

এ অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর অভিপ্রায়ে ২৫ জুন কমিশন এবং উপাচার্যদের নিয়ে ভার্চুয়াল এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপাচার্যদের মতামতের ভিত্তিতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে যেন সব শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারে, সে লক্ষ্যে উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধাসহ শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ডাটা সরবরাহ এবং সহজ শর্তে স্মার্টফোন কিনতে ঋণ সুবিধার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য কমিশন থেকে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি দেয়া হয়।

অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যেসব শিক্ষার্থীর ডিভাইস ক্রয়ে আর্থিক সক্ষমতা নেই, শুধু সেসব শিক্ষার্থীর নির্ভুল তালিকা ২৫ আগস্টের মধ্যে [email protected] ই-মেইলে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

পৃথক চিঠিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধির যথাযথ প্রয়োগ ও গবেষণা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ করতে বলেছে ইউজিসি।

চাকরিবিধি ও প্রবিধি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে অন্য কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিগতভাবে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা বা কোনো ধরনের লাভজনক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকতে পারেন না। কিন্তু কোনো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে কেউ কেউ তা অমান্য করে একদিকে যেমন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছেন, অন্যদিকে আবার কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করছেন, যা ইউজিসির গোচরীভূত হয়েছে। এহেন কর্মকাণ্ড চাকরি বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি বলেছে, গবেষণা কার্যক্রমে ব্যয় করার নিয়ম থাকলেও কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটছে। গবেষণা খাতে বরাদ্দ করা অর্থ শুধু নির্বাচিত গবেষণা প্রকল্পের কার্যক্রমে ব্যয়ের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য অনুরোধ করেছে ইউজিসি।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh