প্রাথমিক সমাপনী না নেয়ার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেবল চলতি বছরের পঞ্চম শ্রেণি শেষে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা না নেয়ার প্রস্তাব করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

আজ বুধবার (১৯ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।

এ দুটি পরীক্ষা শুধু এ বছরের জন্য বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে এই সারসংক্ষেপে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সাড়ে পাঁচ মাস বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় ও কবে নাগাদ বিদ্যালয় খোলা সম্ভব হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় এই প্রস্তাব করা হয়েছে। 

প্রস্তাবে বলা হয়, পিইসি পরীক্ষা না নেয়ার কারণে বার্ষিক মেধাবৃত্তিও দেয়া সম্ভব হবে না। তবে উপবৃত্তি কার্যক্রম চালু থাকবে।

গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সই নেয়ার পর আজ প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যদি এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়, তাহলে এই পরীক্ষার ভিত্তিতে যে বৃত্তি দেয়া হয়, তা এবার দেয়া হবে না। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হলেও সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এ বছর নিজ নিজ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়নও নির্ভর করছে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির ওপর।

অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেও অষ্টম শ্রেণি শেষে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার বিষয়ে এখনো নিজেদের অবস্থান জানাতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, জেএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।