জাহাঙ্গীর আলম
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২০, ০২:৫৬ পিএম
গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব সংযোগের ক্ষেত্রে তিতাস গ্যাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত রয়েছে বলেও বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তিতাস গ্যাসের কিছু সংখ্যক অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এসব অবৈধ সংযোগ নেয়ায় তা বন্ধ করা সম্ভব নয় বলেও অনেক গ্রাহকদের অভিযোগ।
সরেজমিনে জানা গেছে, তিতাস গ্যাস কর্মকর্তাদের নিয়োগকৃত দালালরা বিভিন্ন এলাকার অবৈধ সংযোগ নেয়া গ্রাহকদের কাছ চুলা প্রতি ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে থাকে। বিশেষ করে শিল্প অধ্যুষিত কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক, সফিপুরসহ আশপাশের এলাকা ও গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি কাশিমপুর, জরুন এলাকায় বহুতল ভবন মালিকরা বেশি ভাড়া পাবার আশায় অবৈধ সুযোগ নিয়ে গ্যাস সংযোগ নিচ্ছেন।
এদিকে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের কামারাঙ্গাচালা, সফিপুর, জামতলা, ভান্নারা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাসাবাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়েছে মালিকরা। তবে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড চন্দ্রা জোনাল অফিসের এক প্রকার অসাধু কর্মকর্তার যোগ সাজসে এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে অনেক গ্রাহকের।
অভিযোগ রয়েছে, মৌচাক শিল্পাঞ্চলের কামরাঙ্গা চালা এলাকায় ২০১৩ সাল থেকে ওই এলাকার উপজেলার কামারাঙ্গাচালা এলাকায় ইউনুছ ভান্ডারি প্রতিটি গ্রাহকের কাছ থেকে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়। এ সময় ওই এলাকার আব্দুল আজিজ এর দুটি গ্যাসের চোলা, আলাউদ্দিনের ৪টি, রাজ্জাকের ৮টি, মজিবুর টি, ইউনুছ ভান্ডারী ৩টিসহ দুই শতাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে ব্যবহার করে আসছে।
অপরদিকে, সফিপুর আহম্মদ নগর এলাকার সারোয়ার হোসেনের বাড়িতেও পাঁচতলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়েও রয়েছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ।
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস টান্সমিশন কোম্পানির চন্দ্রা জোনাল অফিসের ব্যবস্থাপক মামুনুর রহমান জানান, যে সকল এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে তা অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হবে। তবে, এ সংযোগের ক্ষেত্রে তিতাস গ্যাসের কোন কর্মকর্তার জড়িত থাকার বিষয়ে তিনি অবগত নন। এছাড়া অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিতাস গ্যাসের ওই কর্মকর্তা।