নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২০, ০৮:৩০ পিএম
ছবি: পিআইডি
৫ আগস্ট শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী জাতীয়ভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক দিবসটি ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে।
সোমবার (৩১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হয়ে এ অনুমোদন দেন।
সভায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শহীদ শেখ কামালের জন্মদিনকে জাতীয়ভাবে উদযাপন করতে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
প্রতিমন্ত্রী রাসেল বলেন, আমরা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ বছরই প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর জন্মদিন উদযাপন করতে পেরেছি।
শহীদ শেখ কামাল ছিলেন বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, ১৯৭১ এর রণাঙ্গনের লড়াকু সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, চির তারুণ্যের প্রতীক। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন শেখ কামাল। শেখ কামাল অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি দেশ সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাহীন স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী ও সংগঠক হিসেবে ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলন ও ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থানে শেখ কামাল সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে ছাত্র সমাজকে সংগঠিত করে, দেশ মাতৃকার মুক্তির যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর এডিসি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীনতার পর শেখ কামাল প্রতিষ্ঠা করেন ‘ঢাকা থিয়েটার’ এবং আধুনিক সংগীত সংগঠন ‘স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী’। ক্রীড়া জগতের উন্নয়নের জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেন-আবাহনী ক্রীড়া চক্র।