মামলা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে ডা. সাবরিনার আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:১৫ পিএম

মামলা স্থগিত ও নথি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী।

মামলার নথিপত্র চেয়ে বিচারিক আদালতের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এ আবেদন করেন তিনি।একই সঙ্গে করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে গত ২৩ জুন ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে করা প্রতারণার মামলাটির কার্যক্রমও স্থগিতের আবেদন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সাবরিনার আইনজীবী মো. সাইফুজ্জামান তুহিন এ আবেদন করার পর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা হাইকোর্টে মামলা স্থগিত ও নথি চেয়ে আবেদন করেছি। যেহেতু এই মামলার মূল ভিত্তিটা বেশকিছু ডকুমেন্টের ওপরই নির্ভরশীল। আমরা বিচারিক আদালতে সেসব ডকুমেন্ট চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলাম। প্রসিকিউশনও এসব ডকুমেন্টের ওপর নির্ভর করে মামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা সাবরিনার পক্ষে সেসব ডকুমেন্টের তথ্য চেয়ে আবেদন জানালে বিচারিক আদালত তা খারিজ করেন। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছি। আবেদনে মামলার ডকুমেন্ট ও স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।

জেকেজি হেলথকেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনা টেস্টের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করা হয়, যা জব্দ করা ল্যাপটপে পাওয়া গেছে। এরপর জেকেজি’র চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

এ মামলায় গত ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক লিয়াকত আলী। মামলার অভিযোগপত্রে সাবরিনা ও আরিফুলকে জালিয়াতি, প্রতারণার হোতা এবং বাকি ছয়জনকে অপরাধে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগপত্রটি দেখার পর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত তা বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন। এরপর বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে আসে। এরপর ২০ আগস্ট অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh