নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:০০ এএম
ইনডোর খেলা হিসেবে ব্যাডমিন্টনের কদর সবসময়ই বেশি। বিশেষ করে শীতের সময় সারাদেশ মেতে থাকে এই খেলা নিয়ে। এই সময়ের আগ্রহটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
শীতের সময় বাংলাদেশের প্রায় বাড়ির আঙিনায় কোর্ট কেটে খেলার আয়োজন করা হয়। অথচ গেল চার বছর রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না ব্যাডমিন্টন লিগ! শীতের জামা কাপড়ের সাথে যেমন পিঠার একটা যোগসূত্র রয়েছে, ঠিক তেমনি সেখানে ব্যাডমিন্টনও একটা পোক্ত অবস্থান তৈরি করে রেখেছে।
কিন্তু কোনোভাবেই এটিকে জাতীয়ভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। শীতের ইমেজটা পৌঁছায় না বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের কার্যালয়ে থাকা কর্মকর্তাদের মাঝে। নয়তো এতটা সময় ধরে লিগ না হওয়ার কোনো অজুহাত কি থাকতে পারে।
কোনোভাবেই কি খেলোয়াড়দের বোঝানো সম্ভব, কয়েকটা ক্লাব সহযোগিতা করে না বলে লিগ আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের কাজটা কি? তারা বসে বসে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের বাতাস হজম করবে আর আপ্যায়ন বিল বাড়িয়ে নেবে। নির্বাচন এলে আবারও এটা করব, ওটা করব বলে মাঠ গরম করেন। সর্বশেষ নির্বাচনের কথা ব্যাডমিন্টন সংশ্লিষ্টদের ভুলে যাবার কথা নয়; কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই কি সবকিছুর সমাধান হবে? সেই আশাও দেখছেন না খেলাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
বিগত দিনের কার্যক্রমই এর পক্ষে কথা বলতে যথেষ্ট। অথচ সম্ভাবনাময় খেলা হিসেবে ব্যাডমিন্টনের অবস্থান ছিল ওপরের দিকে; কিন্তু সঠিক পরিকল্পনার অভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই খেলাটির অবস্থান এখন লজ্জাজনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বিশ্ব ব্যাডমিন্টনে যেখানে এশিয়াদের জয় জয়াকার সেখানে বাংলাদেশ পড়ে রয়েছে সেই তিমিরে। সেরা দশ দেশের মধ্যে নয়টিই এখন এশিয়ার। ক্রম হিসেবে চীন এক নম্বরে, এরপরে ক্রমান্বয়ে আছে- জাপান, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, চাইনিজ তাইপে, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত এবং হংকং ১০ নম্বরে অবস্থান করছে। অলিম্পিক গেমস, বিশ্বকাপ ও এশিয়ান গেমসের মতো দেশগুলো দাপট দেখাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ রয়েছে ৭৬ নম্বরে।
এই অবস্থার মধ্যে আবারও নির্বাচনের ডামাডোল তৈরি হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফেডারেশনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নতুন নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে গেল চার বছর চুপচাপ থাকলেও আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ এনে সোচ্চার হয়েছেন ফেডারেশনের সাবেক কর্মকর্তা ও সংগঠকরা।