রুবানা শারমীন লুপা
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৫৩ এএম
মধ্য মার্চ থেকে এ পর্যন্ত আটকে থাকা বিয়ের আয়োজনগুলো কিছুটা সীমিত পরিসরে ঘরোয়াভাবে হচ্ছে। আজকের আয়োজন সেসব নবদম্পতির জন্য, যারা করোনার মধ্যে বিয়ে করেছেন; কিন্তু সংসার করতে হচ্ছে এককভাবে।
গুরুজন-স্বজনহীন হয়ে অনেকটা বন্দির মতো, নতুন সংসার শুরু করতে হলো বলে হতাশ হয়ে পড়বেন না! মনে রাখবেন, মানসিক চাপ থাকলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা করোনাভাইরাসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই নবদম্পতির প্রথম কাজ হবে নিজেদের সুস্থ রাখতে মানসিক চাপমুক্ত থাকা ও আত্মবিশ্বাসী হওয়া।
সব অবস্থায় ইতিবাচক মনোভাব রাখা। এখনো সুস্থ আছি, বেঁচে আছি, প্রতিবেলা খেতে পারছি ও এমন মহামারির মধ্যেও নতুন জীবন শুরু করতে পেরেছি, এ কথা ভেবে নিজেদের উজ্জীবিত রাখবেন।
নবদম্পতির ঘরের কাজে কত কিছুই না দরকার হয়ে পড়ে। আর তা যদি হয় একার সংসার! তবে তো কথাই নেই। কাজের সময় হাতের কাছে এটা নেই, ওটা নেই লেগেই থাকে! আবার করোনার কারণে হুটহাট বাজারে-শপিং মলে যাওয়াও ঝামেলার। তাই সময় নিয়ে দু’জনে মিলে ঘরের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার তালিকাটা করে ফেলুন। বাজেটের দিকেও নজর দেবেন কড়াকড়িভাবে। হাতে একটা ভালো রকমের সঞ্চয় রেখে বাকি টাকা দিয়ে মাস চালানোর চেষ্টা করুন। অতি জরুরি জিনিসটাই এখনকার মতো কিনুন। মাসের তালিকার সব একত্রে একবারে বের হয়ে কেনার চেষ্টা করুন। আবার নির্ভরযোগ্য অনলাইন থেকেও কিনতে পারেন।
বিয়ের পর তাদের কাজের তালিকার প্রথম দিকেই থাকে হানিমুনে যাওয়ার পরিকল্পনা। আগস্টে কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের হোটেলগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেয়া হয়েছে। তারপরও খুব দূরত্ব পারি দিয়ে ওসব স্থানে এখনই ঘুরতে যাওয়ার অনুমতি হয়তো বাড়ির গুরুজনরা দেবেন না। আবার বিমান চলাচলে নানা বিধিনিষেধের কারণে দেশের বাইরেও হানিমুন করতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই দু’জনে মিলে আশপাশের কোনো রিসোর্টে এক-দুই দিন কাটিয়ে আসতে পারেন। বড় করে বেড়াতে যাওয়াটা না হয় আর কদিন পরেই হলো। বেঁচে থাকলে সবই হবে!
নতুন দম্পতি হয়েও একা একা কীভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন নিত্যনতুন সেই অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধু-পরিজনদের লিখে, ছবিতে বা ভিডিও করে জানাতে পারেন। তাদের কেউ একজন অথবা উভয়ই রান্নায় পারদর্শী হলে নতুন নতুন রান্না করে ইউটিউবে দিতে পারেন। এতে আপনাদের অভিজ্ঞতা যেমন অন্যদের কাজে লাগবে তেমনি একঘেয়েমিও আপনাদের পেয়ে বসবে না।
স্বামী-স্ত্রী, যিনিই বাইরে যাবেন, অফিস-বাজার সদাইয়ের জন্য, ঘরে ফিরে অবশ্যই নিয়মমাফিক পরিচ্ছন্ন হয়ে বাইরের পোশাকটা সাথে সাথে নিজেই ধুয়ে ফেলবেন। লকডাউনের বন্ধে অনেক স্বামীই ঘরের কাজে স্ত্রীকে সাহায্য করেছেন। নতুন স্বামী হয়ে আপনিও সেই ধারা বজায় রাখুন। অফিস থেকে ফিরে স্ত্রীর সাথে মিলে নিজের ঘরের কাজগুলোতে হাত লাগান।
ছুটির সকালে বা সন্ধ্যায় জনাকীর্ণ এলাকা এড়িয়ে নদীর ধারে, খোলা প্রান্তরে ঘুরে আসতে পারেন।