ফারজানা শশী
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৫৭ এএম
‘এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই’ কবি যখন তার প্রেমিকাকে নিয়ে চায়ের উষ্ণতায় এমন আবেগময় কথা লিখতে পারেন তখন সহজেই বোঝা যায় আমাদের যাপিত জীবনে চায়ের গুরুত্ব কতটুকু।
চা পান ছাড়া দিন শুরু হবে সেটা ভাবাই যায় না। অফিস, বাসা ও আড্ডায় চা হবে না তা কি করে হয়? আপনি যে চা পান করেন তার বৈজ্ঞানিক নাম হলো ক্যামেলিয়া সাইনেসিস।
বিভিন্ন এলাকার চায়ের নিজস্ব স্বাদ ও গন্ধ থাকলেও, স্বাস্থ্যগত উপকার কিন্তু একেক ধরনের। চায়ে রয়েছে অনেক বেশি অ্যান্টি অক্সিজেন, যা হৃদরোগ কমাতে যথেষ্ট সহায়ক। শুধু কী তাই? চা রক্তজমাট বাঁধতে বাধা দেয়। চায়ে রয়েছে পটাশিয়াম আর জিঙ্ক। করোনার এই দুঃসময়ে চায়ের কদর বেড়েছে তারও। নানান রকমের চা রয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের চা তৈরির উপকরণ নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।
তুলসী ও মধু চা
চা পাতা এক চামচ ও টি-ব্যাগ একটা। তুলসী পাতা ১০ থেকে ১২টা। লেবুর রস পরিমাণমতো, যেন স্বাদ পাওয়া যায়। মধু পরিমিত। পানি ৫০০ মিলি। ফুটন্ত পানিতে তুলসী পাতা দিয়ে পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর চা পাতা দিয়ে আরো কয়েক মিনিট ফুটাতে হবে। এরপর ছেঁকে নিজের মতো করে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করুন।
কালোজিরা ও গোলমরিচের চা
চা পাতা দুই চামচ, কালোজিরা আধা চা চামচ, আস্ত গোলমরিচ আধা চামচ, আদা কুচি এক চামচের কিছু অংশ, চিনি কিংবা মধু নিজের মতো করে। আর পানি ৫০০ মিলি। পানি ফুটিয়ে চা, কালোজিরা, আস্ত গোলমরিচ আর আদা কুচি দিয়ে ফোটাতে হবে। এরপর ছেঁকে চিনি কিংবা মধু মিশিয়ে গরম গরম চা পান করুন।
মাল্টা ও মরিচের চা
চা পাতা আধা চামচ, মাল্টা একটা, কাঁচামরিচ একটা আর পানি ৫০০ মিলি। চায়ের মধ্যে ইচ্ছেমতো চিনি কিংবা মধু নিতে পারেন। পাত্রে পানি ফুটিয়ে এর মধ্যে চা পাতা ও কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে কয়েক মিনিট ফোটাতে হবে। চুলা থেকে নামিয়ে মাল্টার রস ও পাতলা গোল করে কাটা মাল্টা দিন। চামচ দিয়ে কিন্তু মেশাতে হবে। ঝাল খেতে না চাইলে কাঁচামরিচ বাদ দেয়া যেতে পারে।
লবঙ্গ চা
চা পাতা আধা চামচ, লবঙ্গ ১৫টি, চিনি কিংবা মধু ইচ্ছেমতো। আর পানি ৭০০ মিলি। পানি ফুটলে তাতে লবঙ্গ দিয়ে মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট ফোটাতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের পর চা পাতা দিয়ে কমপক্ষে ৭ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে ইচ্ছেমতো চিনি কিংবা মধু মিশিয়ে গরম চা পান করুন।
এছাড়াও রয়েছে হরেক রকম চা। এর মধ্যে রয়েছে- হোয়াইট টি, হারবাল টি, ওলং টি, ব্ল্যাক টি, গ্রিন টি। বাংলাদেশে এখন গ্রিন টি’র বেশ প্রচলন রয়েছে।
ইতিমধ্যে অনেকের মধ্যে এই চা পান করার আগ্রহ বাড়ছে। গ্রিন টি ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এটি হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এর পাশাপাশি দাঁতের ক্ষয়ে, মাড়ি মজবুত করতে এই চায়ের জুড়ি নেই বলে জানিয়েছেন দন্ত বিশেষজ্ঞরা।
তাছাড়া ব্ল্যাক টি নিয়মিত পান করলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তবে এই চা খেতে হবে দুধ ছাড়া। হারবাল টি ভেষজ উপাদানে মিশ্রিত। এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।