নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৫:১৮ পিএম
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করা মামলায় রিমান্ড শেষে ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার বাড্ডা থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। একইসঙ্গে মামলাটির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর সাবরিনার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম এই রিমান্ড আবেদন করেন।
আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম উল্লেখ করেন, প্রাথমিক তদন্তে মামলার ঘটনার সঙ্গে ডা. সাবরিনার জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তাকে রিমান্ডে এনে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ঘাটন করা প্রয়োজন। এ ঘটনায় সাবরিনা কে বা কার সহায়তায় মিথ্যা তথ্য প্রদান করে দ্বিতীয়বার এনআইডি গ্রহণ করেছেন এবং তার হেফাজতে অন্য কোনো ভুয়া এনআইডি কার্ড আছে কি না, থাকলে তা উদ্ধারসহ প্রকৃত ঠিকানা সংগ্রহপূর্বক যাচাই, মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার চাহিদা মোতাবেক তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদসহ সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনার জন্য পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের প্রয়োজন।
গত ৩০ আগস্ট বাড্ডা থানায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া।
ডা. সাবরিনা চৌধুরী তথ্য জালিয়াতি করে দুই এলাকায় ভোটার এবং দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন। তার দুটি এনআইডি-ই সচল এবং দুটিতে ভিন্ন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। একটিতে জন্ম তারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৭৮। অপরটিতে ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩ উল্লেখ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বয়স পাঁচ বছর কমানো হয়েছে। দু’টি এনআইডিতে স্বামীর নামও ভিন্ন। একাধিক স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার হন ডা. সাবরিনা। তার দুটি পরিচয়পত্রই অকার্যকর করেছে নির্বাচন কমিশন।