বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করলো ভারত

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৩৫ পিএম

বেনাপোল বন্দর দিয়ে বন্ধ হয়ে গেল পেঁয়াজের আমদানি। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। ফলে বেনাপোলের ওপারের পেট্রাপোলে আটকা পড়ে আছে পেঁয়াজ ভর্তি প্রায় ১৫০ ট্রাক।

এছাড়া সোমবার সকাল থেকে ভোমরা বন্দর দিয়ে কোনো পেঁয়াজের গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। সূত্র জানায়, দেশের সব বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ রয়েছে।  বেনাপোল বন্দর দিয়ে সকালের দিকে ৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ঢোকার পরপরই দেশের সবগুলো বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারতের পেঁয়াজ রফতানিকারকদের সংগঠন।

ভারতের পেট্রাপোল রফতানিকারক সমিতির পক্ষে ব্যবসায়ী কার্তিক ঘোষ বলেন, পেঁয়াজ রফতানিকারক সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৭৫০ ডলারের নিচে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করবে না। সে কারণে অনেকগুলো গাড়ি বর্ডারে দাঁড়িয়ে আছে।

বেনাপোলের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানান, ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্য শুরুর পর থেকে ২৫০ মার্কিন ডলারে পেঁয়াজ আমদানি হয়ে আসছে। ভারতের নাসিকে বন্যার কারণে সেখানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। এতে রফতানিকারকরা স্থানীয় বাজার দর হিসাবে ৭৫০ ডলারের নিচে বাংলাদেশে পেঁয়াজের রফতানি করবে না। এ কারণে তারা পেঁয়াজের রফতানি সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে।

ভারতের বনগাঁ এলাকার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী অনিল মজুমদার টেলিফোনে জানান, বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করতে তাদের আপত্তি নেই। বাজার দরে এলসি পেলে তারা পুনরায় রফতানি শুরু করবে। সে ক্ষেত্রে পুরানো যে সব এলসি দেয়া আছে সেগুলো ২৫০ ডলার সংশোধন করে ৭৫০ ডলার করা হলে পেঁয়াজের  আমদানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, ভারত কোনো ঘোষণা ছাড়াই মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। পারস্পারিক বাণিজ্যে সমঝোতার বিকল্প নেই।  তারা রফতানি বন্ধ না করে পেঁয়াজের আমদানিকারকদের সময় বেধে দিতে পারতেন। হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্তটা নেয়া ঠিক হয়নি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh