পঞ্চমের শিক্ষার্থীদের সনদ দেবেন প্রধান শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৪৫ পিএম

চলমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্কুল খোলা সম্ভব না হলে প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ষষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীতের জন্য সেই বিদ্যালয়ের প্রদান শিক্ষক সনদ দেবেন বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয় খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই। পরীক্ষা না হলে গ্রেডিং কোনো বিষয় না। তাকে পরবর্তী ক্লাসে অর্থাৎ ষষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীত করার জন্য তার স্কুল হেড মাস্টার তাকে একটা সার্টিফিকেট দিয়ে দেবে।

এ বছর আর বিদ্যালয় খোলা সম্ভব না হলে অটো পাস দেয়া হতে পারে- এ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, সেটা সময়ই বলে দেবে। আমরা যদি স্কুল না খুলি তাহলেও তো আমাদের বাচ্চাদের পরবর্তী ধাপে (ক্লাসে) দিতে হবে। আমি সবসময় বলি, এক ক্লাস না পড়ে আরেক ক্লাসে উঠেছি। ১৯৭১ সালে আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি, ৭ই মার্চের পর যখন স্কুল বন্ধ হয়ে গেল তারপরে ১৯৭২ সালে জানুয়ারিতে সিক্স থেকে সেভেনে তুলে দেয়া হলো।আমার তো কম্পিটেন্সিতে কোনো সমস্যা হয়নি।

আগামী ১৯ ডিসেম্বরের পর স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে- এ বিষয়ে আকরাম-আল-হোসেন বলেন, সেটা বলেছি অন্যভাবে। বলেছি যে, এখনও আমাদের সংশোধিত ও অনুমোদিত দু’টি লেসন প্ল্যান আছে।

 ‘কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে এবং সরকার যদি মনে করে যে বাচ্চারা এখন নিরাপদ, তারা স্কুলে গেলে কোনো সমস্যা হবে না। সেই অবস্থা হলে আমরা স্কুল খোলার যদি সুযোগ পাই তাহলে আমাদের অনুমোদিত দু’টি লেসন প্ল্যান আছে, অক্টোবর ও নভেম্বর। সেটা যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে আমাদের লিমিট শেষ করার তারিখ ২০ ডিসেম্বর। একটা ৫২ দিন আরেকটা ৪০ দিন। যদি অক্টোবরে খুলতে পারি তাহলে এক রকম হবে, অক্টোবরে খুলতে না পারি যদি নভেম্বরে খুলতে পারি তাহলে ৪০ দিন পাবো। ’

 সচিব বলেন, ইতোমধ্যে মার্চের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পাঠ পরিকল্পনার আমরা ৩৫ শতাংশ শেষ করেছি। সারাদেশে এখন একই পাঠ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়। ঢাকা শহরে একটা স্কুলে যে পৃষ্ঠা পড়ানো হয়, সেটা পঞ্চগড় বা মাগুরা বা দিনাজপুর বা কক্সবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলে একই পাঠ দেওয়া হয়।

‘যদি স্কুল খোলা সম্ভব হয়ে আসে, আমাদের সংশোধিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে হয়তো ২০ ডিসেম্বরের পরে শিক্ষকরা স্ব স্ব স্কুলে বাচ্চাদের মূল্যায়ন করতে পারবে, পরীক্ষার কথা বলিনি। সেই মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেবে। আর যদি স্কুল খুলতে না পারি তাহলে... (অটোপাস)’

প্রাথমিক সমাপনীর ক্ষেত্রে মূল্যায়ন কী হবে- প্রশ্নে আকরাম-আল-হোসেন বলেন, জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা কিন্তু হয়নি বা হবে না।সমাপনী পরীক্ষা না হলে সনদে গ্রেডিংয়ের কী হবে- জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা সচিব বলেন, পরীক্ষা না হলে গ্রেডিং কোনো বিষয় না। তাকে পরবর্তী ক্লাসে অর্থাৎ ষষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীত করার জন্য তার স্কুল হেড মাস্টার তাকে একটা সার্টিফিকেট দিয়ে দিলো।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh