ভ্রূণ হত্যা ও যৌতুক: এএসপি নাজমুস সাকিব কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৫৮ পিএম

ভ্রূণ হত্যা ও যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক আল মামুন এ আদেশ দেন।

হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার মামলার আসামি নাজমুস সাকিব, তার বাবা সফিউল্লাহ তালুকদার ও মা খালেদা সুলতানা আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন। পরে শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে নাজমুস সাকিবকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার বাবা সফিউল্লাহ তালুকদার ও মা খালেদা সুলতানার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

বাদীপক্ষে আইনজীবী ইশরাত হাসান ও জামিন আবেদনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু শুনানি করেন।  

এর আগে গত ৩ জুন তার বিরুদ্ধে নির্যাতন ও ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন তার স্ত্রী ইসরাত রহমান। এ বিষয়ে তিনি রমনা থানা পুলিশের কাছে ই-মেইলে অভিযোগ দেয়ার পর গত ৪ মে তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করে পুলিশ। এতে যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় স্ত্রীকে দফায় দফায় শারীরিক নির্যাতন ও জোর করে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে আনেন ভুক্তভোগী স্ত্রী ইসরাত রহমান।

ইসরাতের অভিযোগ, ২০১৭ সালের মার্চে সাকিবের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বাবার বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময় টাকা এনে দেয়ার জন্য শারীরিক নির্যাতন করতে শুরু করেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বাড়ি দোতলা করার জন্য ১২ লাখ টাকা দাবি করে না পেয়ে ইসরাতের ওপর বেড়ে যায় নির্যাতন। টাকা না পাওয়ায় তালাকের ভয় দেখিয়ে জোর করে গর্ভপাত করানো হয় ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। আবারও অন্তঃসত্ত্বা হন ইসরাত। অনাগত সন্তান মেয়ে হবে এই কারণে শ্বশুরবাড়ি থেকে আবারও ৫ লাখ টাকা দাবি করেন নাজমুস সাকিব। মে মাসের শুরু থেকে নির্যাতনের কারণে দফায় দফায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় ইসরাতকে। আর নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে ক্রসফায়ারেরও হুমকি দেয়া হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh