অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় বাড়ছে এই সব রোগের আশঙ্কা...

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৪৫ এএম

বৈশ্বিক মহামারি করোনভাইরাসের কারণে দুশ্চিন্তার সাথেই থাকতে হচ্ছে আপাতত। কবে সব মিটবে, জানা নেই। বন্ধ মন ভাল রাখার অনেকগুলো সব পথ। তার উপর যখন-তখন, যেখানে-সেখানে রোগের ভয়। কেউ একটা হাঁচি দিলে বা গা একটু গরম হলেই মনে হয়, করোনা নয় তো!

করোনা আবহে মানসিক চাপ ও মেজাজ খারাপের হাত ধরে অন্য রোগ যে এসে হাজির হবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কী রয়েছে তালিকায়? দেখে নেয়া যাক।

দুশ্চিন্তায় বাড়তে পারে যে রোগ:

১. উদ্বেগ বাড়লে অনেকেই যা খুশি খেতে শুরু করেন, শুয়ে-বসে থাকেন, নেশা করেন। তার হাত ধরে বাড়ে ওজন ও ওজনের সাথে সম্পর্কিত অসুখ-বিসুখের আশঙ্কা ও রোগ থাকলে তার প্রকোপ। যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভার, হৃদরোগ, গেঁটে বাত ইত্যাদি।

২. মানসিক চাপের সাথে সরাসরি যোগ আছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের। অনিদ্রা, খিটখিটে মেজাজের সম্পর্ক আছে মানসিক চাপের সাথে। সবে মিলে জীবন বিপর্যস্ত হয় আর তাতে কমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। বাড়ে সংক্রমণের আশঙ্কা।

৩. লাগাতার উদ্বেগে অম্বল, বদহজম বাড়ে। চিকিৎসা না হলে আরো বাড়ে।

৪. ঋতুস্রাব অনিয়মিত হওয়ার মূলেও হাত আছে উদ্বেগের।

দুশ্চিন্তা করে যখন করোনাকে ঠেকাতে পারবেন না, তখন দুশ্চিন্তাকেই ঠেকানোর চেষ্টা করুন। ভরাতের কলকাতার মনোচিকিৎসক শিলাদিত্য মুখোপাধ্যায়ের মত, চাপকে চাপের মতো থাকতে দিন। নিজে সামান্য কয়েকটা নিয়ম মেনে চলুন, দেখবেন মূল সমস্যা না মিটলেও আপনার উপর তার প্রভাব কম পড়ছে।

জীবনযাপনের এই সব নিয়ম মেনে চলুন। যেমন:

১. ‘নিউ নর্মাল জীবন’ মেনে নিন। যত তাড়াতাড়ি মানতে পারবেন, তত ভাল থাকবেন।

২. মন হালকা করার নতুন পথ খুঁজুন। বই পড়া হোক কি গান শোনা, ঘরে বসে সিনেমা দেখা বা হালকা ব্যায়াম করা যেকোনো পথ বেছে নিন। যোগাসন ও মেডিটেশন অভ্যাসেও মন হালকা হয় ।

৩.  টিভিতে বা মোবাইলে হালকা অনুষ্ঠান দেখুন। হাসির অনুষ্ঠান দেখলে আরো ভাল।

৪. ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও ওবেসিটি থাকলে নিয়ম করে ব্যায়াম করুন।

৫. খাওয়াতে রাশ টানুন। ডায়াবেটিস ও মেদ বাহুল্য থাকলে কার্বোহাইড্রেট ও মিষ্টি কম খান। রক্তচাপ বেশি হলে নোনতা খাবার ও ভাজাভুজি বাদ দিন।

৬. ঘন ঘন চা-কফি-কোমল পানীয় পান করে ঘুম নষ্ট করবেন না। মন ভাল রাখার অর্ধেক ওষুধ কিন্তু লুকিয়ে আছে ঘুমের মাঝেই।

৭. কোনো সমস্যা হচ্ছে মনে হলেই ডাক্তার দেখান। অনেকেই আজকাল অনলাইন রোগী দেখছেন। চেম্বারে যেতে সমস্যা মনে হলে ফোন করে পরামর্শ নিন। নিজে থেকে ওষুধ খেয়ে বিপদ বাড়াবেন না। সুস্থ থাকুন। ভাল থাকুন। -আনন্দবাজার পত্রিকা

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh