কুড়িগ্রামে চতুর্থ দফায় বন্যা, বেড়েছে নদী ভাঙন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:২৪ পিএম | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:৫৯ পিএম

চতুর্থ দফা বন্যার কবলে পড়েছেন কুড়িগ্রামের নদী অঞ্চলের বাসিন্দারা। টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তলিয়ে গেছে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলগুলো। রোপা আমন ও সবজির খেত এখন পানির নিচে। বাড়ি-ঘর ছেড়ে অনেকেই গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন উঁচু স্থানে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দীর্ঘ দেড় মাসের বন্যার পর ঘুরে দাড়াতে না দাড়াতেই আবারো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ।

অন্যদিকে তীব্র স্রোতের কারণে জেলার ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের ২০টি পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব, কাউয়াহাগার ঘাট, ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের জগমনের চর, মোগলবাসা ইউনিয়নের চরশিতাইঝাড় ও সন্ন্যাসী, রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কালুয়া এলাকায় ধরলার ভাঙন তীব্র হয়ে উঠেছে।

অন্যদিকে তিস্তার ভাঙনের উলিপুরের দলদলীয় ইউনিয়নের ঠুটা পাইকরসহ কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের মুখে পড়েছে সদরের যাত্রাপুর, রৌমারী, রাজিবপুর, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা।
 
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান জানান, গত দুইদিনে ধরলার ভাঙনে আমার ইউনিয়নের জগমনের চর এলাকার ৫৪টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এসব পরিবার খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও ১৩৫০টি পরিবার পানিবন্দি জীবন-যাপন করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানায়, উজানে ও স্থানীয়ভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি শুরু হয়েছে ভাঙন। ভাঙন রোধে বিভিন্ন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh