গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন আটক

সাভার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৭:৩৭ পিএম

সাভারের আমিনবাজার এলাকা থেকে গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন ওরফে এমপি সালাউদ্দিনকে অস্ত্র ও মাদকসহ আটক করেছে র‍্যাব। এ সময় তার দুই সহযোগীকেও আটক করা হয়েছে।

র‍্যাব-৪ জানান, শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সময় আমিনবাজারের সালেহপুর এলাকা তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত সালাউদ্দিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গুলি, ১৯০ গ্রাম হেরোইন, ৫০০ পিস ইয়াবা এবং দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়। 

উল্লেখ, ২০০০ সাল থেকে আমিনবাজার ও তার আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মধ্য দিয়ে উত্থান হয় গাংচিল বাহিনীর। যার প্রধান ছিলো আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার। বেশিরভাগ সময় পানিবেষ্টিত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় এর নাম দেয়া হয় গাংচিল বাহিনী। ২০১৭ সালে আনারের মৃত্যুর পর তার সহযোগী সালাউদ্দিন ওরফে সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে আবারো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু হয়। এ বাহিনী মূলত আমিনবাজার, গাবতলী, ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, বেড়িবাঁধ, কেরানীগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, খুন ইত্যাদি কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। গাংচিল বাহিনীর বিরুদ্ধে ২০০২ সালে সাভার থানার এক এসআইকে হত্যা, ২০০৭ সালে দুই র‌্যাব সদস্যকে হত্যা, দিয়াবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্র লুট এবং আমিনবাজার এলাকায় নৌ-টহল দলের অস্ত্র লুটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।


এ বাহিনী তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীর বালু ভর্তি ট্রলার, ইটের কার্গোতে ডাকাতি ও আমিনবাজার এলাকার শতাধিক ইটভাটা থেকে নিয়মিত চাঁদা সংগ্রহ করতো বলেও অভিযোগ আছে। এছাড়াও এলাকার প্রভাবশালীদের টার্গেট করে গাংচিল বাহিনীর সদস্যরা মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। চাঁদাবাজি, খুন, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাইসহ তুরাগ আর বুড়িগঙ্গা নদীর দুই ধারে একছত্র আধিপত্য বিস্তার ছিলো এই বাহিনীর প্রধান কাজ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh