ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৫৪ এএম
ফাইল ছবি
ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে প্রাচীন লড়াই হিসেবে পরিচিত অ্যাশেজ সিরিজ। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের এই লড়াই ক্রিকেটে সবচেয়ে উঁচু আর বনেদি হিসেবে পরিচিত। সেই ১৮৭৭ সালে প্রথমবার যখন পরস্পর মোকাবেলা করেছিল দেশ দুটি, তখন থেকেই উত্তেজনার বারুদে ঠাসা ছিল ম্যাচগুলো। এখনো যার আবেদন এতটুকু কমেনি। ক্রিকেটের সৌন্দর্য্য হিসেবেও এই ম্যাচের কথা বলা হয়ে থাকে।
এর বাইরে যদি অন্য দুই দলের লড়াইকে সামনে আনা হয় সেটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে বলতে হবে। রাজনৈতিক নানা ডামাডোলের মধ্যেও চির বৈরী সম্পর্কের দেশ দুটি মাঠের লড়াইয়ে নেমে থাকে। তবে নিয়মিতভাবে নয়। মাঝে মধ্যেই ছেদ পড়ে যায়। যেমনটি পড়েছে এখন।
আবার কবে এই দুই দলের ধ্রুপদী লড়াই দেখতে পাবে ক্রিকেট সেই সময়ের কথা কেউ বলতে পারছে না। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সিরিজ। এর নেপথ্যে রয়েছে দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরী সম্পর্ক। আর যতদিন পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান না হচ্ছে ততদিন দুই দেশের মধ্যে কোনো সিরিজই হবে না।
ব্যাপারটি সম্প্রতি ভারতীয় বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করেছেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যান এহসান মানি। রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশ থাকলেও কয়েক বছর ধরে পিসিবি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ নিয়ে বিসিসিআইর সাথে অনেকবার আলোচনায় বসেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে সব সময়ই নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে ভারত। বিসিসিআইর এমন আচরণে হতাশ পিসিবি। যা তাদের নতুন করে সিরিজ আয়োজনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাকিস্তানের সাথে সিরিজ খেলার বিষয়ে ভারত এখন আর নিজেদের আগ্রহের কথা জানাচ্ছে না। এই না জানানোর বিষয়ে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপও নেই। এ ব্যাপারে মানি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছিলাম সিরিজ আয়োজন করতে। কয়েক বছর ধরে পিসিবি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ নিয়ে বিসিসিআইর সাথে অনেকবার আলোচনায় বসেছে। এখন এটা টি-টোয়েন্টি হোক বা দ্বিপক্ষীয়, সব বিষয়ই ওদের ওপর নির্ভর করছে। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
গত ১৪ বছর ধরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলেনি ভারত। উল্টো দিকে পাকিস্তানও আট বছর ধরে ভারত সফর করেনি।
বিসিসিআই সব সময়ই দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজনে ভারত সরকারের সবুজ সংকেতের বিষয়টি সামনে আনে। মানি অবশ্য এ বিষয়ে আইসিসির হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেছেন, ‘এখানে ক্রিকেট বোর্ড একা কিছু করতে পারবে না। এই দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট নিয়ে বিসিসিআইর সাথে আমি কোনো কথা বলব না। এখন বিষয়টা ওদের ওপর নির্ভর করছে, তারা আমাদের সাথে কথা বলবে কিনা, যদি ওদের কিছু বলার থাকে। আইসিসির গঠনতন্ত্র বলে, এ বিষয়ে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। তাই আমার মনে হয় আইসিসিরই এ বিষয়ে ওদের সাথে কথা বলা উচিত।’
তবে দু’দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা চাইছেন আবারও ভারত-পাকিস্তান মাঠে নামুক। সেটা দুই দেশের যে কোনো ভেন্যুতে না হলেও যেন নিরপেক্ষ ভেন্যুতেই হয়।