নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:২০ পিএম
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় তার বাবার সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে একমাত্র আসামি মজনুর বিচার শুরু হয়েছে। ওই সময় আদালত চত্বরে কান্নাকাটি করেছেন আসামি মজনু।
রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে সাক্ষ্য দেন ধর্ষিত শিক্ষার্থীর বাবা।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২১ জন সাক্ষী রয়েছেন। বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো। সোমবারও এই মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।
চলতি বছর ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুর্মিটোলা স্টপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নিজ গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফেরেন।
এই মামলায় গ্রেফতার মজনু গত ১৬ জানুয়ারি ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানববন্দিতে তিনি একাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানান।
গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক মজনুকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে মজনুকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পোশাক ও মোবাইল ফোনসহ ২০টি আলামত জমা দেয়া হয়েছে অভিযোগপত্রের সঙ্গে।
একমাত্র আসামি গ্রেফতার থাকায় মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় অভিযোগপত্র দাখিলের দিনই তা সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি। এরপর গত ২৬ আগস্ট এই মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।