শিক্ষকদের জন্য সুখবর

জাতীয়করণের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৩২ পিএম | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:০৬ পিএম

চার বছরেও আত্তীকরণের কাজ শেষ না হওয়ায় ১২ হাজার শিক্ষক আর চার হাজার কর্মচারীর মধ্যে প্রায় তিন হাজারই এরই মধ্যে অবসরে চলে গেছেন। সরকারি কলেজে চাকরি করেও তাদের বেসরকারি হিসেবেই অবসরে যেতে হয়েছে। শিক্ষকরা অবসরে চলে যাওয়ায় এবং নতুন নিয়োগ বা পদায়ন না হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি একাধিক কলেজে এমন বিভাগও রয়েছে যেখানে একজন শিক্ষকও নেই।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সরকারের নতুন নির্দেশনা

জানা যায়, জাতীয়করণের তালিকাভুক্ত ৩০২ কলেজের বেশির ভাগই প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পায় ২০১৬ সালে। জাতীয়করণের এই সিদ্ধান্ত অনেকটা চ্যালেঞ্জ করে ‘নো বিসিএস নো ক্যাডার’ আন্দোলনে নামেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরীর অনুসারীরা। তারা এ নিয়ে রিট পিটিশনও দায়ের করেন। ফলে মামলার ধকল পেরিয়ে কলেজ সরকারীকরণের গেজেট হয় ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট। শাহেদুল খবির চৌধুরী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) হওয়ায় এতোদিন তার এখতিয়ারেই ছিলো জাতীয়করণের সব কাজ। তবে প্রায় চার বছর ধরে মাউশি তাদের কাজ শেষ করেছে। এখন তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।

সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় যাচাই শেষে এরই মধ্যে অর্ধশতাধিক কলেজের ফাইল পদ সৃজনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। সেখানে একজন উপসচিব এসংক্রান্ত সব ফাইল দেখছেন। এরপর ফাইল যাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। তাদের সম্মতি পেলে ফাইল যাবে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে। এরপর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশের পর শিক্ষকদের চাকরি সরকারীকরণের চূড়ান্ত গেজেট জারি হবে।

তবে শিক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো পরবর্তী ধাপগুলোতেও নতুন করে যাচাই-বাছাই শুরু হলে আগামী চার-পাঁচ বছরেও এই আত্তীকরণের কাজ শেষ হবে না। আর এই সময়ের মধ্যে দায়িত্বরত অর্ধেক শিক্ষক-কর্মচারীকেই বেসরকারি হিসেবে অবসরে চলে যেতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমি সচিব হিসেবে যোগ দেওয়ার পর আত্তীকরণের কাজ দ্রুত শেষ করতে পাঁচটি কমিটি করে দিয়েছি। করোনার কারণে কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকলেও এখন দ্রুত কাজ চলছে। আশা করছি, জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নতুন করে আর কোনো যাচাই-বাছাই হবে না। সেসব মন্ত্রণালয়েও যাতে একাধিক ডেস্কে কাজ শেষ করা হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সচিবদের সঙ্গে কথা বলব। যত দ্রুত সম্ভব আমরা কাজটা শেষ করতে চাই।’

জাতীয় করা কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির (সকশিস) সভাপতি জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি আত্তীকরণে এক কাগজ কেন বারবার যাচাই হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। চার বছর পার হয়েছে, আর কত অপেক্ষা করতে হবে? সরকারি কলেজে চাকরি করে বেসরকারি হিসেবে অবসরে যাওয়ার যে দীর্ঘশ্বাস, তা আমরা আর সহ্য করতে পারছি না।’

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh