টিকা পেতে কোভ্যাক্সে যোগ দিয়েছে বিশ্বের ৬৪টি ধনী দেশ

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকা দরিদ্র দেশগুলোর কাছে সহজলভ্য করার লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিওএইচও) কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে বিশ্বের ৬০টিরও বেশি সম্পদশালী দেশ। 

তবে গতকাল সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের নাম ছিল না।

গ্লোবাল ভ্যাকসিন এলায়েন্স গ্রুপ (গ্যাভি) ও কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপার্ডনেস ইনোভেশন্সের (সিইপিআই) সাথে যৌথ উদ্যোগে কভিড-১৯ এর ভবিষ্যত ভ্যাকসিনের ন্যায়সঙ্গত বণ্টনের লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি কৌশল প্রণয়ন করেছে।

কিন্তু কোভ্যাক্স নামের এই কৌশল প্রণীত হলেও এটি তহবিল সংকটে ভুগছিল। এ অবস্থায় ডব্লিওএইচও গত সপ্তাহে ধনী দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করে। এ পর্যন্ত ৬৪টি ধনী দেশ এতে যোগ দেয়। আরো ৩৮টি দেশ যোগ দেবে বলে জানা গেছে। তিন সংস্থা এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানায়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডব্লিওএইচও’র অব্যাহতভাবে সমালোচনা করে যাচ্ছেন। তার ঘোষণা মতে সংস্থাটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াও চলছে। তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র নেই। এছাড়া গত ডিসেম্বরে করোনার উৎপত্তি হয়েছে চীনে। তালিকায় চীনও নেই।

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গ্যাভি প্রধান শেঠ বার্কলে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বলেন, বিশ্বের সব দেশের সাথেই কাজ করা কোভ্যাক্সের লক্ষ্য। সব দেশের সাথে আমাদের আলোচনা চলছে ও এ আলোচনা অব্যাহত থাকবে।

ডব্লিওএইচও প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস আশা প্রকাশ করে বলেন, ১৫৬টি দেশ যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৪ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করছে, তারা কোভ্যাক্স সুবিধা পেতে হয় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বা যোগ্য ও বাকিরাও তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করবে।

এর মধ্যে ৬৪টি দেশ ধনী, যারা কভিড-১৯ টিকা আবিষ্কার হলে নিজস্ব অর্থায়নে নিতে পারবে ও ৯২টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশ, যাদের টিকা কেনার জন্য সহায়তার প্রয়োজন হবে। এসব দেশকে অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান গ্যাভির সমন্বয়ে কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্টের (এএমসি) মাধ্যমে টিকা সংগ্রহে সহায়তা করা হবে।

কভিড-১৯’কে নজিরবিহীন বিশ্ব সংকট হিসেবে উল্লেখ করে তেদ্রোস বলেন, এ সংকট মোকাবেলায় বৈশ্বিক পদক্ষেপও হতে হবে নজিরবিহীন। কোভ্যাক্স সুবিধা কোনো দাতব্য বিষয় নয়, এটি প্রতিটি দেশের সর্বোচ্চ আগ্রহের বিষয়। হয় আমরা একসাথে ডুবব, না হয় সাঁতরে যাবো। -সিনহুয়া