পাকা রাস্তার প্রতিশ্রুতি, তিন শতাধিক পরিবারের ভোগান্তি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৫:৫০ পিএম

ঝালকাঠির রাজাপুর সদর ইউনিয়নের ফুলহার গ্রামের হাওলাদারের হাট থেকে উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের মোল্লাবাড়ির আয়রন ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় তিন শতাধিক পরিবারের লোকজন যুগযুগ ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তাটির দৈর্ঘ্য রাজাপুর সদর ইউনিয়নের ফুলহার গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাওলাদারের হাট হয়ে সিদ্দিক ডাক্তারের বাড়ির পাশ হয়ে পশ্চিম ফুলুহার মাধ্যমিক বিদ্যায়ের পাশ হয়ে উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের মোল্লাবাড়িরর আয়রন ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। ওই রাস্তা দিয়ে পশ্চিম চারাখালি হামিজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম চারাখালি আলিম মাদ্রাসা ও পশ্চিম চারাখালি হাইস্কুলে শতাধিক শিক্ষার্থীরা বর্ষা মৌসুমে খুব ভোগান্তির মধ্য দিয়ে আসা যাওয়া করে। ওই সড়কের কালভার্ট ও ব্রিজ অনেক আগে নির্মাণ করা হলেও পাকা করার উদ্যোগ নেননি কেউ। বছরের পর বছর বর্ষা মৌসুমে ওই রাস্তার মাটি সরে গিয়ে বড় বড় ভাঙনসহ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে তিন শতাধিক পরিবারের মানুষদের জুতা ও প্যান্ট পরে ঘর থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় থাকেনা। বর্ষা মৌসুমে স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় রাস্তাটি। রাস্তাটির বেশিরভাগ রাজাপুর সদর ইউনিয়নের মধ্যে রয়েছে।

ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, প্রত্যেক নির্বাচনের সময় আসলেই বারবার শোনা যায়, সড়কটি এবার পাকা করা হবে। এ রকম খবর ১৫-২০ বছর আগে থেকে শোনা যাচ্ছে। আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। তাই সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনের পরে ওই রাস্তাটি পাকা করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. মিজানুর রহমান মিজান বলেন, গত দুই বছর আগে একবার মাপ দিয়ে কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছিলো। তাতে কোনো কাজ হয়নি। এরপর রাস্তাটি পাকা করার আর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh