৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহার

আমদানি করা পেঁয়াজের সব শুল্ক প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন ইস্যু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সই করা আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এনবিআর পেঁয়াজের ওপর আরোপ করা সব আমদানি শুল্ক হতে অব্যাহতি দেয়া হলো। আর এ আদেশ ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

প্রসঙ্গত, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর থেকেই অস্থির হয়ে উঠেছিলো দেশের পেঁয়াজের বাজার। কয়েক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। গত বছরেও ভারত যখন পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিলো, তখনো দেশে পেঁয়াজের দাম রেকর্ড তিনশো টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিলো।

জানা গেছে, বাংলাদেশে পেঁয়াজের মোট চাহিদার প্রায় ৫৭ শতাংশ দেশে উৎপাদিত হয়। বাকিটা বিদেশ থেকে, প্রধানত ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। এ কারণেই পেয়াঁজের ব্যাপারে ভারত কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তার প্রভাব পড়ে বাংলাদেশের বাজারে। এছাড়া মিয়ানমার, মিশর, তুরস্ক, চীন থেকেও বাংলাদেশে অল্প কিছু পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে।

তাই দেশের পেঁয়াজের বাজার যেনো অস্থিতিশীল না হয় এবং এর প্রভাব যেনো জনগণের উপর না পড়ে এজন্য গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।

যেখানে বলা হয়েছিলো, সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়েছে। এছাড়া, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় বাজারে এ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। পেঁয়াজ চাষিদের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে এবং আমদানি-নির্ভরতা কমাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি বিবেচনায় পেঁয়াজের ওপর থেকে ওই শুল্ক প্রত্যাহার করে সরকার।

এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এক অনলাইন সভায় পেঁয়াজ আমদানির ওপর ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছিলেন।