শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে নাব্য সংকট

কাজী সাব্বির আহমেদ দীপু

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৫০ এএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:২৭ এএম

নাব্য সংকট নিরসণে শিমুলিয়া-কাঠাঁলবাড়ী নৌরুটে ড্রেজিং কার্যক্রম নিয়ে বিস্মিত বিআইডব্লিউটিসি, লঞ্চ চালক ও ঘাট সংশ্লিষ্টরা।

নৌরুটের লৌহজং টার্নিং চ্যানেল চালু করতে ড্রেজিং করতে গিয়ে অপসারণ করা পলিমাটি পাশেই ফেলা হচ্ছে। এতে লৌহজং টার্নিং চ্যানেল আবারো পলিমাটিতে ভরে যাচ্ছে। আর বিআইডব্লিউটিএর এমন ড্রেজিং কার্যক্রম দেখে বিস্মিত ঘাট ব্যবহারকারীরা।

তারা বলছেন, ড্রেজিংয়ে কোটি কোটি টাকা অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ফেরি চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠেনি। উল্টো নৌ-চ্যানেল, উল্টো ড্রেজিং কার্যক্রমই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এদিকে, বিআইডব্লিউটিএ বলছে, তারা নাব্য সংকট নিরসণে ড্রেজিং অব্যাহত রেখেছেন।

ঘাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লৌহজং টার্নিং চ্যানেলের নাব্য সংকট নিরসণে চলতি মাসের প্রথম ১০ দিন ৯টি ড্রেজার দিয়ে রাত-দিন ড্রেজিং করে বিআইডব্লিউটিএ। পদ্মা সেতুর চ্যানেলে ড্রেজিং করে সেখানেই পলিমাটি ফেলায় লৌহজং টার্নিং চ্যানেল আবারো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ’র এমন অপরিকল্পিত ড্রেজিং কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করে বিস্মিত বিআইডব্লিউটিসি, লঞ্চ চালক ও ঘাট সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজিং কাজ অব্যাহত থাকলেও নাব্য সংকট নিরসন না হওয়ায় রো রো ফেরি ও ডাম্প ফেরিগুলো চলাচল করতে পারছে না। এমনকি ছোট ছোট ৪টি ফেরি চালু রেখে নৌরুট সচল রাখলেও সেগুলো চলছে নদীর তলদেশ ঘেঁষে। আর বাকি ৯টি ফেরি অলস সময় কাটাচ্ছে ঘাটের অদূরেই নোঙরে থেকে।

জানা যায়, গত জুন মাস থেকে মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ৩ মাস ২২ দিন পর্যবেক্ষনের পর বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং কার্যক্রম নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন শিমুলিয়া-কাঠাঁলবাড়ী নৌরুটে চলাচলরত ফেরির একাধিক চালক, বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা ও লঞ্চ চালকরা। তারা জানান, চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না সিনোহাইড্রোর ড্রেজিংয়ে কাটা পলিমাটি পদ্মা চরের মাঝে ফেলার কারণে সেগুলো নদীর পানিতে মিশতে সুযোগ পায়না। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার গুলো পলিমাটি ফেলার কাজও সম্পূর্ণ উল্টো। তারা যেখানে ড্রেজিং করছে আর তার পাশেই ফেলছে পলিমাটি। ফলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না উল্টো কয়েকদিন যেতে না যেতেই আবারো পলি জমে চ্যানেলে নাব্য সংকট দেখা দিচ্ছে।

তবে, বিআইব্লিউটিএ’র তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী মজনু মিয়া জানান, লৌহজং টার্নিং চ্যানেলটি এখন ব্যবহারের সম্ভাবনা নেই। তাই ড্রেজিংয়ের বালু সাময়িক সময়ের জন্য এখানে ফেলা হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh