চাল আত্মসাৎ করে কারাগারে ইউপি চেয়ারম্যান

সরকারি চাল আত্মসাতের ঘটনায় কুষ্টিয়ার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মহসিন হাসান আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন— কুষ্টিয়ার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দবির উদ্দিন বিশ্বাস, একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মারুফুল ইসলাম, চাউলের ডিলার মন্টু হোসেন এবং ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সরোয়ার হোসেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১৪ নম্বর গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দিন বিশ্বাস ও তার সহযোগীরা গত চার বছর ধরে গরিব দুস্থদের জন্য সরকার নির্ধারিত খাদ্য সহায়তা প্রকল্পের ১০ টাকা কেজি দরের সরকারি চাল উত্তোলন ও তালিকাভুক্ত দুস্থদের না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এমন সংবাদ স্থানীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ আদালতের দৃষ্টিগোচর হয়।

এ ঘটনায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্তের জন‌্য গত ১৯ এপ্রিল কুষ্টিয়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেলিনা খাতুন কুষ্টিয়ার ইসলামি বিশ্ববিদ‌্যালয় (ইবি) থানা পুলিশকে আদেশ দেন। পরে এ ঘটনায় তদন্ত করে কুষ্টিয়া ইবি থানা পুলিশ আদালতে একটি প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে গরিব ও অবহায় ব্যক্তিদের নামে বরাদ্দকৃত ওএমএসের চাল আত্মসাতের প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া যায়।

কুষ্টিয়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী কৌঁসুলি সুমিত্রা বিশ্বাস জানান, গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নে গরিব ও অসহায় ব্যক্তিদের নামে সরকারি ওএমএসের চাল আত্মসাতের ঘটনায় গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দবির উদ্দিন বিশ্বাস, সদস্য মারুফুল ইসলাম, চালের ডিলার মন্টু হোসেন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সরোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দবির উদ্দিন বিশ্বাসসহ আসামিরা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল।