বগুড়ায় যমুনা ও বাঙালী নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০২:৫৩ পিএম

যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বগুড়ার সারিাকান্দি পয়েন্টে আজ সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে হয়। ছবি: সংগৃহীত

যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বগুড়ার সারিাকান্দি পয়েন্টে আজ সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে হয়। ছবি: সংগৃহীত

উজান থেকে আসা ঢলে বগুড়ায় আবারো যমুনা ও বাঙালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। 

যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বগুড়ার সারিাকান্দি পয়েন্টে আজ শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে হচ্ছিল। আর বাঙালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও আজ সকাল ৬টায় বিপদসীমার প্রায় আড়াই সেন্টিমিটর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বগুড়া পানি উন্নযন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন, যমুনা নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬.৭০ সেন্টিমিটার। শনিবার সকাল ৬টার হিসাব অনুযায়ী, নদীর পানি ১৬.৮১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরো জানান, বাঙালী নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫.৮৫ মিটার। বর্তমানে এ নদীতেও পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ নদীর পানি কমতে শুরু করে আবারো ২৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

যমুনা ও বাঙালী নদীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় মানুষ চতুর্থ দফা বন্যার আতংকে ভুগছে। যমুনা ও বাঙালী নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় ৭৬৫ হেক্টর জমির রোপা আমন, শাক-সবজি, মাশকলাই, মরিচ একবারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক দুলাল হোসেন।

যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলের সারিয়াকান্দি উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের রোপা আমন, শাকসবজি, মাশকলাই, মরিচ, স্থানীয় জাতের গাঞ্জিয়া ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। বাঙালী নদী পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সারিয়াকান্দি সদর ও হাটশেরপুর ইউনিয়নের বাঙালী নদীর তীরবর্তী এলাকায় মরিচ, শাকসবজি, রোপা আমন, মাসকলাই বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। যমুনা ও বাঙালী নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার ৭৬৫ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদীগুলোতে পানিবৃদ্ধি পাওয়ায় সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ৭৬৫ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। 

সবচেয়ে বেশি ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে সারিয়াকান্দি উপজেলায়। উপজেলার চালুয়াবাড়ী, কাজলা, বোহাইল, কর্ণিবাড়ী, হাটশেরপুর ,চন্দনবাইশা ও সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের রোপা আমন, শাকসবজি, মাশকলাই, মরিচ, স্থানীয় জাতের গাঞ্জিয়া ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

অপর দিকে বাঙালী নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার নারচী, কুতুবপুর, ফুলবাড়ী, ভেলাবাড়ী, সারিয়াকান্দি সদর ও হাটশেরপুর ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকায় মরিচ, শাকসবজি, রোপা আমন, মাসকলাই বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। সারিয়াকান্দির চরগোদাগাড়ী, গোদাগাড়ী, গণকপাড়া গাছবাড়ী, হাটশেরপুর ইউনিয়নের চরবরুরবাড়ী, সদর ইউনিয়নের পাইকপাড়া, কুতুবপুর ইউনিয়নের চর মাছিরপাড়া, ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের বাঁশহাটা এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মিয়া জানান, যমুনা নদীতে চতুর্থ দফা পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরবর্তী বেশ কিছু বসতবাড়ি ডুবে গেছে। দুইটি স্কুল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh