৬ ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁজছে পুলিশ

সিলেট মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নগরীর শাহপরাণ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

তারা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও কলেজটিতে ইংরেজিতে মাস্টার্সে অধ্যয়রত শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, একই শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মাছুম, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম সাইফুর রহমান, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা অর্জুন এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ও তারেক।

এরই মধ্যে শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শতাধিক শিক্ষার্থী কলেজের সামনে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে কলেজ বন্ধ থাকার পরেও ছাত্রাবাস কেন খোলা রাখা হয়েছিল সেটি বড় প্রশ্ন। বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ অবগত থাকার পরও ছাত্রাবাস বন্ধ না করায় ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপিঠে কলঙ্কের দাগ লেগেছে।

এদিকে গণধর্ষণের এ ঘটনার পর সকল শিক্ষার্থীকে ছাত্রাবাস ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আজ দুপুর ১২টার মধ্যে তাদের ছাত্রাবাস ছাড়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে হোস্টেল সুপার জামাল উদ্দিন বলেন, এমসি কলেজের অধ্যক্ষ আজ জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। বৈঠকে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার সকালে পুলিশ বাদী হয়ে সাইফুরকে আসামি করে অস্ত্র আইনে এ মামলা দায়ের করে।

সিলেট মহানগর পুলিশের শাহ পরাণ (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহপরান আব্দুল কাইয়ুম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নারীকে ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করছে।