এমসি কলেজে ধর্ষণ মামলার আরেক আসামি রাজন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:১৩ এএম | আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৫৬ এএম

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় রাজন নামের আরো এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন  র‌্যাব-৯-এর মিডিয়া কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ওবাইন।

গতকাল রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রাজন এ মামলার অজ্ঞাতপরিচয় তিন আসামির একজন। এছাড়া এসময় রাজনকে আশ্রয় দেয়া ও সহযোগিতা করায় আইনুল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।

এর আগে, গতকাল রাতে এ মামলার আরো দুই আসামি শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি ও রবিউল ইসলামকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জ ও ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা থেকে গতকাল ভোরে সাইফুর রহমানকে এবং হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা এলাকা থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে এই মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করা হলো। এর মধ্যে চারজন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

উল্লেখ্য, স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজে গিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে পাঁচ থেকে ছয়জন তাদের জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যান। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেন তারা। পরে ওই গৃহবধূকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা দেয়া হয়।

পরে এ ঘটনায় শনিবার ওই গৃহবধূর স্বামী বাদি হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন সাইফুর রহমান (২৮), শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), তারেক (২৮), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান মাছুম (২৫)। তাদের মধ্যে সাইফুর রহমান বালাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা, রনির বাড়ি হবিগঞ্জে, তারেক সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা, অর্জুনের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জে, রবিউলের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় আর মাহফুজুর রহমান মাছুমের বাড়ি সিলেটের সদর উপজেলায়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh