আটকেপড়া প্রবাসীদের নিয়ে প্রতিবেদন দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৩৪ এএম

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেশে এসে আটকেপড়া প্রবাসীদের বিদেশে চাকরিতে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে মন্ত্রিসভার আগামী বৈঠকে সমন্বিত প্রতিবেদন দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার এ নির্দেশ দেয়া হয়।

২০২০ সালে কভিড-১৯ মহামারির কারণে এক লাখ ৪১ হাজার প্রবাসী দেশে ফেরত এসেছেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়রুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৈঠকের শেষে প্রধানমন্ত্রী বিদেশে কর্মসংস্থান নিয়ে অতিরিক্ত (অনির্ধারিত) আলোচনায় গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকে কীভাবে আটকা পড়া প্রবাসী শ্রমিকদের ফেরত পাঠানো যায়, যথাযথভাবে পুনরায় নিয়োগ দেয়া যায় ও বিদেশে নতুন শ্রমবাজার অন্বেষণ করা যায় সে বিষয়ে একটি বিস্তৃত প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য উজবেকিস্তান ও কাজাখস্তানের মতো কিছু সম্ভাব্য চাকরির বাজার রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা উপাত্ত অনুসারে, ২০২০ সালে মোট এক লাখ ৪১ হাজার ৪৬ জন শ্রমিক দেশে ফিরেছেন এবং তাদের মধ্যে ৮৮ হাজার ৫৮৬ জন বহিরাগত বা ভ্রমণ ভিসা নিয়ে এসেছিলেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কভিড-১৯ মহামারিকালীন সময়ে জনশক্তি রফতানি ও বিদেশে কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি সম্পর্কে এর ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা উত্থাপন করেছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রায় এক কোটি বাংলাদেশি বিদেশে থাকায় ও বেশিরভাগ প্রবাসী নিয়মিত দেশে ভ্রমণ করায় ফেরত আসাদের সংখ্যা বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগজনক নয়।

চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে প্রায় এক লাখ ৮১ হাজার ২৭৩ বাংলাদেশি শ্রমিক বিদেশে গিয়েছেন। আগের বছরে একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল চার লাখ ৬ হাজার ৯৬২ জন। ২০১৯ সালে প্রায় ৭ লাখ ১৫৯ জন বাংলাদেশি শ্রমিক বিদেশে গিয়েছিলেন এবং ২০২০ সালে সরকার প্রায় সাড়ে ৭ লাখ শ্রমিক রফতানি করার লক্ষ্য নিয়েছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সচিব বলেন, বিশ্বব্যাপী কভিড -১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাব সত্ত্বেও গত অর্থবছরে (২০১৯-২০২০) রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ১৮.২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৯.৬ শতাংশ বেশি।

আটকে থাকা সৌদি প্রবাসীদের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদকে জানিয়েছেন, তিনি রবিবার সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন এবং বিপুল সংখ্যক সৌদি বিমান ও বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট চালনার অনুমতি দেয়ার ও ভিসার মেয়াদ ২৪ দিন বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। ভিসার মেয়াদ কয়েকবার বাড়ানো হলেও সৌদি কর্তৃপক্ষ আরও সময় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে। -ইউএনবি

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh