রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২০, ১১:২২ এএম
ছবি: রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীতে প্রায় ঘরে ঘরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ- গলা ব্যথা, সর্দি, শুকনো কাশি, জ্বর জ্বর ভাব, দুর্বলতা, মাথা-শরীর-হাত-পা ব্যথা, ডায়ারিয়া ও পেটে ব্যথা, খাবারের স্বাদ ও গন্ধের বোধ চলে যাওয়াসহ বিভিন্ন লক্ষণ থাকলেও নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছে না বেশির ভাগ লোক।
এতে করে করোনা সংক্রমণের হার জেলায় বেড়ে যাওয়াপর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরোজমিনে রাজবাড়ীতে ঘুরে দেখা যায়, জ্বর, ঠান্ডা, গলা ব্যথা, ডায়রিয়া থাকলে বেশির ভাগ মানুষ গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতালগুলোতেও অনেক লোক আসছে এই সব রোগের চিকিৎসা নিতে।
আনোয়ার নামে একজন গার্মেন্টস কর্মী বলেন, আমি বাড়িতে থেকে ঢাকায় গেলে তার কিছুদিন পরে আমার প্রচন্ড জ্বর, ঠান্ডা, গলা ব্যথা শুরু হয়। পরে আমি বাড়িতে চলে আসি। এলাকায় এসে জ্বর, ঠান্ডার ওষুধ কিনে খাওয়ার ১৫ দিন পর সুস্থ হই। এখন শরীরে কোনো সমস্যা নেই। আমি করোনা পরীক্ষা করিনি।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন গ্রাম্য ডাক্তার বলেন, বর্তমানে আমাদের কাছে জ্বর, ঠান্ডা, গলা ব্যথাসহ করোনার উপসর্গ আছে এমন ধরণের রোগী বেশি ওষুধ নিতে আসে। আমরা রোগীদেরকে বলি আপনার করোনার উপসর্গ আছে, কভিড পরীক্ষা করে নেবেন। কিন্তু আমরা দেখি বেশির ভাগ লোক পরীক্ষা করায় না।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের প্যাথলোজির ইনচার্জ নন্দ দুলাল সরকার বলেন, আগে রোগী বেশি ছিলো আমরা তখন প্রতিদিন করোনার নমুনা পাঠাতাম ১২৫ থেকে ১৩০ এর মতো। কিন্তু বর্তমানে রোগী কম তার কারণে এখন ২৫ থেকে ৫০ এর মধ্যে নমুনা পাঠাচ্ছি। রোগী যদি বেশি হয় আমরা বেশি পাঠাবো।
রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন বলেন, জ্বর, ঠান্ডা, গলা ব্যথা, ডায়রিয়াসহ করোনার যে উপসর্গ আছে তা যদি কোনো মানুষের সেটা থাকে তাহলে তারা যেন বিলম্ব না করে অবশ্যই নমুনা পরীক্ষা করান। সেই দিকে আমাদের সচেতন হতে হবে। যারা নমুনা দিতে আসবে আমরা সবার নমুনা নেবো। এনিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
গতকাল বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত রাজবাড়ীতে তিন হাজার ৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছে দুই হাজার ৮৩১ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। বাকিদের মধ্যে আটজন হাসপাতালের আইসোলেশনে ও ২০১ জন হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।