শিশুর সুঅভ্যাস গড়তে করণীয়

ফারজনা শশী

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২০, ০৯:১৮ এএম

মা-বাবা থেকে শিশু শেখে। তার সুন্দর অভ্যাস গড়ে উঠবে মা-বাবার আচার-আচরণেই। আপনি রাত জেগে টিভি দেখবেন আর ১০টা বাজলেই বাচ্চা কে বলবেন, ‘ঘুমাতে যাও’ এটা হতে পারে না। আপনাকেও ১০টার সময় ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। 

শিশুকে বিভ্রান্ত না করার প্রয়োজনে ও তার সুস্থ-স্বাভাবিক বিকাশের স্বার্থে শিশুর সাথে কথায় ও আচরণে মা-বাবার সৎ থাকাটা খুবই জরুরি। মা-বাবার মধ্যে সম্পর্কের আন্তরিকতাও শিশুর মানসিকতায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। বড় হয়ে শিশুরা তাদের মা-বাবার আচরণ ও কাজকর্মকে অনুকরণ করে এবং সন্তানদের জন্য রোল মডেল হন। ভালো ও খারাপ অভ্যাসগুলোর মধ্যে পার্থক্য করতে এবং সেগুলোর মধ্যে থেকে ভালোটিকে বেছে নিতে শিশুকে শিক্ষা দেয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। 

বাচ্চারা বেশিরভাগ সময়েই ফাস্ট ফুড, চিপস, মিষ্টি, বিস্কুট, চকলেট খাওয়ার দিকেই বেশি আগ্রহী হয়। আপনাকে তাদের বিশ্বাস করাতে হবে যে, স্বাস্থ্যকর খাবারও একইরকম সুস্বাদু হতে পারে। আপনার বাচ্চাদের সোফায় বসতে ও আরাম করে টেলিভিশন দেখতে অনুমতি দেয়া মা-বাবা হিসেবে আপনার দিক থেকে একটি বড় ভুল হবে। 

তাদের একটি নিস্তেজ জীবনধারা পেতে দেবেন না। তাদের বাইরে যেতে উৎসাহিত করুন, যেমন- তাদের হাঁটতে বা ব্যায়াম করতে অথবা বাইরে খেলতে পাঠান। একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করুন, এটিকে বেশ মজার করে তুলুন ও আপনার বাচ্চাদেরও এতে যুক্ত রাখুন। 

আপনার সচেতনতা তাদের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি করতে সাহায্য করবে, যেগুলো তারা সারাজীবন বহন করবে। সবাই মিলে একসাথে খাবার খাওয়াকে গুরুত্ব দিন। সারাদিন কর্মব্যস্ততার কারণে সময় না পেলে অন্তত রাতে একসাথে খাবার খান। 

শিশুদের জীবনের প্রথমদিকে তাদের পরিচ্ছন্নতা শেখানোটা বাধ্যতামূলক। শিশুদের চারপাশের পরিবেশ গুছিয়ে রাখার মধ্য দিয়ে শুরু করুন। যখন তারা সুশৃঙ্খলভাবে থাকা জিনিসপত্র দেখতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে, তখন তারা নিজেরাও জিনিসপত্র ওইভাবে রাখতে চাইবে। বাচ্চাদের কিছু নির্দিষ্ট জিনিসের মূল্য জানতে হবে, কৃতজ্ঞ হতে শিখতে হবে ও যাদের সামর্থ্য নেই তাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার মতো বিনয়ী হতে হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh