করোনা প্রতিরোধে হার্ড ইউমিনিটি ব্যবস্থা ‘অনৈতিক’: ডব্লিউএইচও

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২০, ০১:৩৩ পিএম

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানোম গেব্রিয়াসিস করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে হার্ড ইউমিনিটি ব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। 

গতকাল সোমবার (১২ অক্টোবর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এটিকে ‘বৈজ্ঞানিক ও নৈতিকভাবে সমস্যাযুক্ত’ বলে উল্লেখ করেন।

কোনো একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে নির্দিষ্ট অনুপাতে ভ্যাকসিন দেয়া হলে বা ওই জনগোষ্ঠীতে দ্রুত ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে হার্ড ইমিউনিটির সৃষ্টি হয় বলে ধরে নেয়া হয়। কেউ কেউ অবশ্য যুক্তি দেখিয়েছেন টিকা না আসা পর্যন্ত করোনাকে স্বাভাবিকভাবেই ছড়িয়ে পড়তে দেয়া উচিত।

ডব্লিএইচও প্রধান কভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধে হার্ড ইমিউনিটির চিন্তাকে ‘বৈজ্ঞানিকভাবে ও নৈতিকভাবে সমস্যাযুক্ত’ বলে মন্তব্য করে বলেন, তথা-কথিত হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের আশায় যারা কভিড-১৯ ছড়ানোর অনুমোদন করছেন এটি ‘অনৈতিক’।

তিনি বলেন, হার্ড ইমিউনিটি হলো টিকা দেয়ার জন্য ব্যবহৃত একটি ধারণা। কোনো একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকা দেয়া হলে ওই জনগোষ্ঠীতে ওই ভাইরাসটির সংক্রমণ আর হয় না। মানুষকে ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত করার মাধ্যমে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করা হয়। একে ছড়িয়ে দিয়ে নয়। মহামারি প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় এটা কোনো কৌশল হিসেবে কখনো ব্যবহার করা হয়নি।

উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, হামের ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ জনসংখ্যাকে টিকা দেয়া হলে তবে বাকি পাঁচ শতাংশও ভাইরাসের বিস্তার থেকে রক্ষা পায়। পোলিও’র ক্ষেত্রে এর হার ৮০ শতাংশ।

ডা. তেদ্রোস বলেন, যে বিপজ্জনক ভাইরাসকে আমরা পুরোপুরি জানতে পারেনি তাকে মুক্তভাবে ছেড়ে দেয়া অনৈতিক। এটি কোনো বিকল্প হতে পারে না।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর এই ভাইরাস দ্রুত পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসকে মহামারি ঘোষণা করে।

বিশ্ব মহামারি নিয়ন্ত্রণে লড়ে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র টিকা আবিষ্কারে জন্য দৌড়ঝাঁপ করছে। ডব্লিউএইচএওর ওয়েবসাইট অনুসারে, ২ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ মোকাবিলায় ১৯৩টি ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে ও এর মধ্যে ৪২টি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে আছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh