যশোরে দুই যুবককে গলাকেটে হত্যা

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২০, ১০:৪৮ পিএম

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের বারপাড়ার গলাকেটে দুই যুবককে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন- সদর উপজেলার জয়ন্তা গ্রামের মুক্তার গাজীর ছেলে বাদল হোসেন (২৪) এবং একই গ্রামের লোকমান আলীর ছেলে আব্দুল আহাদ আলী (২৫)।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তারা মণিরামপুর উপজেলার বারপাড়ায় ডিস লাইনের কাজ করছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কে বা কারা তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে বাদলকে মৃত অবস্থায় পায়। আর আহাদকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। আহদকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।

স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, আহাদ আলী এবং বাদল হোসেন ডিস লাইনের কাজ করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মোটরসাইকেলে সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার নিউ সোনা ব্রিকসের সামনে দিয়ে তারা ঢাকুরিয়ার দিকে যান। মণিরামপুরের ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের বারপাড়া গ্রামের মাঠের মধ্যে পৌছামাত্র দুর্বৃত্তরা তাদের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এরপর তাদের ওই মাঠের মধ্যে ফেলে দুর্বৃত্ত পালিয়ে চলে যায়। পরে পথচারীরা দেখে স্থানীয় লোকজনদের জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়।

বারপাড়া গ্রামের নাছির বিশ্বাস জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পরপর এক যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় আরেক যুবক বাড়ির মধ্যে দৌড়ে এসে বলে ‘চাচা আমারে বাঁচান’। পরে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি করে। পরে তাকে ভ্যানে করে হাসপাতালে নেয়ার পথে গোপালপুর রেল লাইনের গেইটের কাছে পৌঁছলে তার মৃত্যু হয়। পরে লোকজন দেখে রাস্তার পাশে আর একজনের লাশ পড়ে আছে। 

বাদলের চাচাতো ভাই মিলন হোসেন জানিয়েছেন, বাদল একটি নতুন মোটরসাইকেল কিনেছেন। তিনি রুপদিয়া বাজারে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা করেন। বাদল ও আহাদ দুইজনের বসুন্দিয়ার জয়ন্তা বাজারে ক্যারামবোর্ড খেলছিল। হঠাৎ বাদলের মোবাইলে কল এলে তারা দুইজনে বেরিয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে বারপাড়ায় এসে বাদলের মরদেহ দেখতে পাই। সেখানে গিয়ে বাদলের মোটরসাইকলেটি পড়ে ছিলো।

পুলিশের ধারণা, মোটরসাইকেলটি কেড়ে নেয়ার জন্য ওই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। তবে লোকজন টের পেয়ে যাওয়ায় মোটরসাকেলটি দুর্বৃত্তরা ফেলে পালিয়ে যায়। 

সংবাদ পেয়ে যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম খাঁন রাসেল ও নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের আলী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। 

এ ব্যাপারে মণিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম বলেছেন, ঘটনাটি মণিরামপুর থানাধীন ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের উত্তরপাড়া (বারপাড়া) মাঠের মধ্যে ঘটেছে। সেখানে পুলিশের একাধিক টিম আছে। অপরাধীদের শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh