আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২০, ০৯:১২ এএম | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২০, ১১:১৩ এএম
থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থার মধ্যে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা ভেঙে আবার রাজধানী ব্যাংককের বিভিন্ন সড়কে জড়ো হয়েছেন গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীরা।
গতকাল স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে কারফিউ জারি করা হলেও, এর তোয়াক্কা না করে ব্যাংককের র্যাচাপ্রাসং মোড়ে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা।
এসময় তারা, গ্রেফতার হওয়া বিক্ষোভকারীদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিন। এছাড়া ছাত্র আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠা তিন আঙুল স্যালুট প্রদর্শন করেছেন অনেকেই। পাশাপাশি আজ শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় আবারো রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়ে রাতে পথ ছাড়েন।
অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলকারী প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র নেতৃত্বাধীন আন্দোলন শুরু হয়। সম্প্রতি কয়েকমাসে বিক্ষোভকারীরা রাজার ক্ষমতা খর্বের দাবিতেও আন্দোলন শুরু করেছেন।
জরুরি অবস্থা চলাকালে নিষিদ্ধ করা হয় গণজমায়েত। বলা হয়, পাঁচজনের বেশি সড়কে একত্রিত না হতে। গণমাধ্যমগুলোকে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনো খবর প্রকাশ না করতে। কিন্তু গণতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলন ও বিক্ষোভ আমলে নিতে চায়না থাইল্যান্ডের রাজা। এমন কি সেনা সমর্থিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওঝাও চান না কোনো উত্তাপ ছড়াক। তাই বিক্ষোভ ঠেকাতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেই জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এদিকে, ইদানীং বেশির ভাগ সময় বিদেশে থাকেন থাই রাজা মহা ভজিরালংকর্ন। কয়েক সপ্তাহ জার্মানিতে কাটানোর পর সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন তিনি। তার আগমনে গত বুধবার রাজধানী ব্যাংককে বিশাল বিক্ষোভের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কথা বলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেই কঠোর জরুরি অবস্থা জারি করে থাই সরকার। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা ব্যাংককের একটি ব্যস্ত এলাকায় সমবেত হয়ে আটকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষও হয়েছে।