দাফনের আগে নড়ে উঠলো শিশু, এখন এনআইসিইউতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২০, ০৭:২১ পিএম

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভোরে জন্মের কয়েক ঘণ্টা পর শিশুটির ঠিকানা হতে যাচ্ছিলো মোহাম্মদপুরের বসিলা কবরস্থান। কিন্তু ঠিক দাফনের আগেই নড়ে ওঠায় এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া নবজাতককে রক্ষা করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।

নবজাতকের বাবা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ইয়াসিন মোল্লা বলেন, কবরের কাছ থেকে ফিরে আসার পর তার সন্তান এখন হাসপাতালে নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা এনআইসিইউতে আছে। এখন সবাই চেষ্টা করছে বাচ্চাটার জন্য। আমি আর কোনো অভিযোগ করতে চাই না, আপনারা যা শুনেছেন সবই সত্যি।

গর্ভবতী স্ত্রী শাহিনুর বেগমকে তিনদিন আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন ইয়াসিন মোল্লা। আজ ভোরে স্বাভাবিকভাবেই সন্তান প্রসব করেন শাহিনুর বেগম, কিন্তু জন্মের পরপরই নবজাতক কন্যা সন্তানটিকে মৃত ঘোষণা করে বাবা ইয়াসিন মোল্লার হাতে তুলে দেন সেখানে তখন দায়িত্বরত চিকিৎসক। একটি প্যাকেটে করে বাচ্চাকে নিয়ে মোহাম্মদপুরে বসিলায় কবরস্থানে যান ইয়াসিন মোল্লা। কিন্তু দাফনের আগেই নড়ে ওঠে শিশুটি।

ইয়াসিন মোল্লা বলেন, তিনি তখনি আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে ফেরত নিয়ে আসেন তার নবজাতক সন্তানকে। এরপর থেকে মেয়ে আমার আইসিইউতে আছে। ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করছেন। যতটুকু বুঝি এখনো ভালো আছে মেয়ে।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন বাচ্চাটি অনেক অপরিণত অবস্থায় জন্ম নিয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা শিশুটিকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছিলো। কিন্তু তার কোনো স্পন্দন ছিলো না। এমনকি বাচ্চা কাঁদেওনি। শ্বাস প্রশ্বাস ছিলো না। নিয়মানুযায়ী সব চেষ্টার পরেও হৃৎস্পন্দন দেখা না যাওয়ায় বাচ্চাটিকে শিশুর বাবার কাছে দেয়া হয়েছিল।

পরে বাচ্চাটির স্পন্দন আসায় আবার তাকে হাসপাতালে আনার পর থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে শিশুটিকে সুস্থ করে তোলার জন্য।

হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ওকে এখন নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে সব ধরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের দিক থেকে যা যা করার সব আমরা করছি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh