ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২০, ০১:৩১ পিএম | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২০, ০৪:৪২ পিএম
ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে নয় দফা দাবিতে ঢাকা থেকে নোয়াখালীর একলাশপুরগামী লংমার্চে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় তিন সাংবাদিক ছাড়াও ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেনী শহরের কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এর আগে শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে লংমার্চে অংশ নেয়া আন্দোলনকারীরা সমাবেশ করেন। লংমার্চে অংশ নেয়া আন্দোলনকারীরা বলেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে সমাবেশ ও প্রচারাভিযান করে ফেনী জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময় কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গেলে কয়েকজন সন্ত্রাসী লাঠি নিয়ে হামলা করে। এসময় লংমার্চে অংশ নেয়া হৃদয়, শাহাদাত, অনিক, যাওয়াদসহ ২০জন আহত হয়।
লংমার্চে থাকা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদরি জয় বলেন, ফেনীতে সমাবেশ শেষে নোয়াখালী রওনা হতে বাসে ওঠার সময় লাঠিসোঁটা ইট নিয়ে এই হামলা হয়।
হামলাকারীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলে অভিযোগ করেন জয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ফেনী শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ফেনীতে সমাবেশের পরিচালক পংকজ দেবনাথ সূর্য বলেন, এ হামলা ন্যক্কারজনক। আমাদের কর্মীদের হামলা করে দমিয়ে দিতে চায় সন্ত্রাসীরা।
এর আগে শহরের শহীদ মিনারের পাশে দোয়েল চত্বরে সমাবেশ চলাকালে স্থানীয় সংসদের ছবির উপর লাল রং লাগিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য লেখাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে লংমার্চকারীদের তর্কাতর্কি হয়। এসময় ফেনী সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান ও ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণজাগরণ তৈরির লক্ষ্যে শুক্রবার শাহবাগ থেকে নোয়াখালীর পথে এই লংমার্চ শুরু করে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’। বাম ছাত্র সংগঠনগুলো ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও নারী সংগঠন এতে যোগ দিয়েছে। আজ বিকেলে নোয়াখালী শহরে সমাবেশের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শেষ হবে। এই জেলায়ই বিবস্ত্র করে এক নারীকে নির্যাতনের পর সারাদেশে নিন্দার ঝড় বইছে।