নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২০, ০৩:৩২ পিএম
ক্যাসিনো কাণ্ডসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত থেকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে চার সরকারি কর্মকর্তা ও চার ঠিকাদারের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় আজ রবিবার (১৮ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সম্পদের হিসাব চেয়ে পৃথক নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
তারা হলেন- যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান মো. সাজ্জাদুল ইসলাম, গণপূর্তের সার্কেল-৪ এর উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আকবর, টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের খাদ্য পরিদর্শক মো. খোরশেদ আলম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কর কর্মকর্তা শেখ কুদ্দুস আহমেদ, মুন্সীগঞ্জের ঠিকাদার মোয়াজ্জেম হোসেন সেন্টু, চট্টগ্রামের পটিয়ার ঠিকাদার নুর উর রশীদ চৌধুরী এজাজ, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ঠিকাদার জাকির হোসেন ও ঠিকাদার আব্দুস সালাম।
দুদকের জনসংযোগ (পরিচালক) কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা নোটিশে বলা হয়, ‘আপনি নিজের এবং আপনার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও উহা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী এই আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনের ২৬ (২) উপধারায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দুদক সূত্রে জানা গেছে, শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রায় ২০০ জনের তালিকা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এখন পর্যন্ত ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অন্তত ২২টি মামলা করেছে সংস্থাটি।