চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস ও নদীপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২০, ১১:৫৮ এএম | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২০, ১২:০০ পিএম

নৌযান শ্রমিকদের ১১ দফা দাবিতে ডাকা ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস ও নদীপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। 

এরফলে দেড় হাজারের বেশি লাইটার জাহাজ, অয়েল ট্যাংকার, বাল্ক হেড অপেক্ষমাণ আছে কর্ণফুলী নদীতে।

আজ মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে নৌযান শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেয়ায় কোনো লাইটার জাহাজ পণ্য খালাস করছে না। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর বহিঃনোঙ্গরে পণ্য খালাসে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে এবং নগরীর সদরঘাটসহ বিভিন্ন নৌঘাটে সব ধরনের পণ্য খালাস বা ওঠা-নামা বন্ধ।

চট্টগ্রাম জেলা নৌশ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি নবী আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকরা ধর্মঘট শুরু করেছে। দিনের পর দিন আশ্বাস দিয়েও কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণ না করায় শ্রমিকরা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছে। 

চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙরসহ বিভিন্ন নৌঘাটে অচলাবস্থা তৈরি হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে এই শ্রমিক নেতা বলেন, আমাদের দেয়ালে পিট ঠেকে গেছে, আমরা বাধ্য হয়েই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। বিকেলেই চট্টগ্রামে শ্রমিকরা ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ করবে।

তিনি আরো বলেন, মধ্যরাত থেকে আমাদের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। বহির্নোঙরে অর্ধশতাধিক বড় জাহাজ রয়েছে। নদীপথে পণ্যবাহী কোনো নৌযান চলাচল করছে না। কিছু লাইটার জাহাজ চলাচল বা পণ্যখালাসের চেষ্টা করলেও আশপাশের লাইটার জাহাজের শ্রমিকরা জোর করে কাজ বন্ধ করে দেন। কর্ণফুলী নদীসহ বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে অলস বসে আছে লাইটার, ট্যাংকার, বাল্ক হেডগুলো। শুধু যাত্রীবাহী নৌযান কর্মবিরতির বাইরে রাখা হয়েছে।  

গত ১৩ অক্টোবর রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম অধিদফতরের সামনে নৌশ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদের মানববন্ধন থেকে ১১ দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে মালিকরা তাদের বৈঠকে ডেকেছিলেন গতকাল সোমবার (১৯ অক্টোবর)। বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলা বৈঠকে কোনো সমাধান না আসায় এ ধর্মঘট শুরু করেন নৌ শ্রমিকরা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh