নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২০, ০২:৫৮ পিএম
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফাইল ছবি
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পর এ বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষাও না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব পরীক্ষার্থীদের গ্রেডিং ছাড়াই সনদ দেয়া হবে।
আজ বুধবার (২১ অক্টোবর) মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ে এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হচ্ছে না বলে। এবার অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা হচ্ছে না। পরীক্ষা না দিয়ে পরবর্তী শ্রেণিতে তাদের যেতে হবে। তবে তাদের ক্ষেত্রে সনদের একটি বিষয় রয়েছে। তারা কোনো সনদ পাবে না সেটি তো উচিত নয়। সেজন্য পরীক্ষা যে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শেষ করেছে, কৃতকার্য হয়েছে সেটি উল্লেখ থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা উন্নত বিশ্বের কথা বলি, উন্নত দেশ হতে চাই। উন্নত বিশ্বের অংশ হতে চাই। আবার উন্নত বিশ্বের যে শিক্ষা ব্যবস্থা সেখানে কিন্তু প্রত্যেক ক্লাসে গ্রেডিং পরীক্ষা, পাস, ফেল, জিপিএ-৫ এ ধরনের উন্মাদনা দেই। কাজেই এদিকে আমরা আধুনিক হবো ভাবছি, তাই শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নত দিকে যেতে হবে।
মূল্যায়ন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের তো তাদের ইতোপূর্বের রেজাল্টে অনেকটা মূল্যায়ন করা যেতে পারে। শিক্ষকরা তো শিক্ষার্থীদের বিষয়ে ধারণা রাখে। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সাইন্স, কমার্স, আর্টস বিভাগে কে কিভাবে যাবে সেটিও আমরা একটি সিদ্ধান্তে আসব।
তিনি আরো বলেন, বছরের শেষে, বছরের মাঝখানে পরীক্ষা নিয়েই যে সেটি মূল্যায়ন করা যায় তা নয়। আরো অনেক ধরনের মূল্যায়নের পদ্ধতি রয়েছে। আমরা ধারাবাহিক মূল্যায়নের যে পদ্ধতিগুলো রয়েছে সেগুলোতে যেতে চাচ্ছি। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে সামগ্রিকভাবে সেগুলো চিহ্নিত করে দুর্বলতা দূর করতে চাই। আমরা পরীক্ষা ভীতি, পরীক্ষার চাপ, শারীরিক মানসিক চাপ চাই না। শিক্ষার্থীরা আনন্দের মধ্য দিয়ে জ্ঞান অর্জন করবে, দক্ষতা অর্জন করবে, সুযোগ্য নাগরিক হবে।
শিক্ষাবর্ষ বৃদ্ধির বিষয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা সব পরিকল্পানাই মাথায় রাখছি। শিক্ষাবর্ষ বৃদ্ধির প্রয়োজন কিনা সেটির জন্যও চিন্তায় রাখছি। এখন যে অবস্থায় আছি তাতে এখনো শিক্ষাবর্ষ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীরা নতুন ক্লাসে যাবে সেটি এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত। যারা অনলাইনে ক্লাস করতে পারেনি বা করতে পারছে না, নভেম্বর-ডিসেম্বরে তাদের রিচ করার চেষ্টা করব। যারা ক্লাস করেনি শুধু তারা নয়, যারা করেছে তাদের মধ্যেও দুর্বলদের এগিয়ে নিতে আরো বেশি ক্লাস করাতে হবে। কিভাবে সেসব ক্লাস হবে সেই পরিকল্পনাও করছি।
সামনের বছরে ভর্তির বিষয়ে তিনি বলেন, এখন এমন অবস্থায় আমরা বলতে পারছি না একমাস পর কি অবস্থায় থাকব। ভর্তি কখন শুরু করতে পারব কীভাবে হবে সেটিও এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অনলাইনে সেটি করব কিনা সেটিও দেখছি, কিন্তু অনলাইন সবার জন্য অ্যাকসেসেবল না। সুতরাং কীভাবে করব পরবর্তিতে সেটি জানিয়ে দেবো।
এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।