এএসআইয়ের নেতৃত্বে ধর্ষণ: ২ আসামির স্বীকারোক্তি

রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২০, ০৮:৪৯ পিএম

এক স্কুলছাত্রীকে রংপুর মহানগর ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলামের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ভুক্তভোগী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় লালমনিরহাট থেকে গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি বাবুল ও আজাদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ বুধবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার জাকির হোসেন।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভুক্তভোগী পুলিশের গাড়িতে করে আদালত চত্বরে আসেন। এরপর তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীরের আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী তিনি নারী নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।

এরপর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে গ্রেফতারকৃত দুই আসামি বাবুল ও আজাদকে পুলিশি পাহারায় আদালতে আনা হয়। তারা দুজনই ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

পুলিশ জানায়, রংপুর মহানগরীর হারাগাছ থানার ময়নাকুঠি কচুটারি এলাকার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। পরিচয়ের সময় রায়হান তার ডাক নাম রাজু বলে জানায় ওই ছাত্রীকে। সম্পর্কেরে সূত্র ধরে রবিবার সকালে ওই ছাত্রীকে রায়হান ডেকে নেন হারাগাছ ক্যাদারের পুল এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগমের বাড়িতে। সেখানে রায়হান ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর তার আরও কয়েকজন পরিচিত যুবককে দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করায়। ওই ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে স্কুলছাত্রী বিষয়টি হারাগাছ থানায় জানায়। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ ওই ছাত্রীকে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা আয়নাল বাদী হয়ে রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh