নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২০, ০৮:২৯ পিএম
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রতি রোগীর পেছনে সরকার গড়ে ১৫ হাজার টাকা থেকে ৪৭ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করেছে।
নামমাত্র ফি দিয়ে করোনা পরীক্ষা ও মহামারিতে মানুষ সরকারি হাসপাতালে বিনা খরচে চিকিৎসা পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
রবিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে) সম্পর্কে অংশীজনদের অবহিতকরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছে। অন্যরা কেবল ঘরে বসে থেকে সমালোচনা করে গেছে। শত সমালোচনার পরও দেশের স্বাস্থ্যখাত তার কাজ ঠিকভাবেই চালিয়ে গেছে।
সভায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসলে তা মোকাবেলায় সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। মন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় পূর্বের সকল প্রস্তুতি ধরে রেখে কাজ করা হচ্ছে। ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো যেভাবে করোনার জন্য কাজ করেছে তা অব্যাহত রাখা হবে। চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, পিপিই দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে তা ভবিষ্যতেও মজুদ থাকবে। এর পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটিগুলোকে প্রচারণা আরো বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতেও অবগত করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই সরকারি সেবা নিতে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলকও করা হয়েছে যাকে ইংরেজিতে তুলে ধরা হয়েছে- No Mask, No Service. খুব দ্রুতই করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে।
সভায় স্বাস্থ্য সেবায় মানুষের ব্যয় কমানো সংক্রান্ত নানা বিষয়াদি নিয়ে বিষয়ে বক্তারা আলোচনা করেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।