ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২০, ০৫:১৮ পিএম
চলে এলো শীতকাল। উত্তরে বইছে শীতের আমেজ। এরপর বইতে শুরু করবে মৃদুমন্দ ঠাণ্ডা বাতাস। ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করেছে কুয়াশা। অন্যদিকে শীতের আমেজে ফুটে উঠছে আবহমান গ্রামবাংলার প্রকৃতি ও চিরাচরিত ঐতিহ্যের রূপও।
হিমালয়ের পাদদেশের কাছাকাছি জেলা ঠাকুরগাঁওসহ উত্তরের সব জেলাতেই শীতের এমন আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। এ অঞ্চলের বাসিন্দারা শীত নিবারণে প্রস্তুতি নিলেও শুরুতেই হিমশিম খাচ্ছেন হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ।
কয়েক রাত থেকে অনুভূত হচ্ছে শীত। মোটা কাপড় ও কাঁথা মোড়াতে বাধ্য করেছে এ কদিন। দিনে রোদ থাকলেও সন্ধ্যার পর শীত অনুভূত হচ্ছে। ভোরের আবহাওয়াও বেশ ঠাণ্ডা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
প্রকৃতিতে এখন চলছে হেমন্তকাল। পূর্ণাঙ্গ শীত আসতে আরো দিন দশেকের বাকি থাকলেও, এবার আগামই এসেছে শীত। দিনে তাপমাত্রা থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকেই পড়ছে কুয়াশা। রাত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে কুয়াশাও। ভোরের সূর্যকে একপ্রকার কুয়াশার চাদর ভেদ করেই উঁকি দিতে হচ্ছে।
আবহাওয়া কার্যালয়ের মতে, সন্ধ্যার হতেই দিনের তাপমাত্রা কমে আসতে শুরু করে। তাই একটু আগেভাগেই শীত অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমে আসছে। রাতে কুয়াশাও পড়ছে।
এদিকে শীতের আমেজে ফুটে উঠছে আবহমান গ্রামবাংলার চিরায়িত ঐতিহ্যের রূপ। ভোরের আলোয় ঘাস, ফুল আর লতাগুল্মে বসছে শিশিরবিন্দু। চারদিকে ফলছে শীতের সবজি। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নিত্যনতুন শীতের সবজি। ফসল উৎপাদনে কাঁধে লাঙল আর জোয়াল নিয়ে মাঠে ছুটছেন কৃষক। চলছে আমন ধান কাটা-মাড়াই আর ঝাড়াই।
শীত আসবে, অথচ পিঠা তৈরির ধুম লাগবে না, তা কি হয়? শুরু হয়ে গেছে ভাপা পিঠা আর চিতোই পিঠা বানানো ও খাওয়ার ধুম। এদিকে গাছিরা ব্যস্ত খেজুর রস উৎপাদনে। শীত নিবারণে কেউ তৈরি করছে কাঁথা, কেউ লেপ-তোষক।
সকাল-সন্ধ্যা খড়কুটো জ্বালিয়েও কেউ কেউ শীত নিবারণ করে যার যার কাজে যাচ্ছেন। এমনই দৃশ্য এখন প্রতিনিয়ত পড়ছে চোখে উত্তরাঞ্চলের গ্রামবাংলায়।