খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২০, ১০:২৫ পিএম
খুলনার সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসন মোল্লা হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
হত্যাকাণ্ডের প্রায় সাড়ে তিন বছর পর সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে খুলনা সদর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা বাহাউদ্দিন খন্দকার, সোহরাব হোসেন ও মিরাজকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডির পরিদর্শক শাহাজাহান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নগরীর পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৪ জুন ইফতারের পর বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেনসহ সাত থেকে আটজন রায়েরমহল এলাকার হামিদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি করে। ঘাড়ে, হাতে ও বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই শাহাদাত হোসেনের মৃত্যু হয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয় লিয়াকত খান ও তার ছেলে মোস্তফা, বুলবুল ও রুবেল। ঘটনার পর ১৭ জুন নিহতের ছেলে আল মামুন সুমন বাদী হয়ে হরিণটানা থানায় অজ্ঞাতনামাদের নামে মামলা দায়ের করেন।
তদন্তেরর এক পর্যায়ে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন খন্দকারের নাম সামনে আসলে হঠাৎ করে বাদীর আপত্তির পরেও মামলার তদন্ত সিআইডি পুলিশে হস্তান্তর হয় বলে অভিযোগ আল মামুন সুমনের।
পরবর্তীতে সিআইডি তদন্ত করে সোমবার খুলনা সদর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন খন্দকার, সোহরাব হোসেন ও মিরাজকে গ্রেফতার করে। দলীয় কাউন্সিলে গত বছর বাহাউদ্দিন খন্দকার সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত হন। তবে ব্যাপক অর্থ ব্যয় করে খুলনা দলিল লেখক সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অপর দলিল লেখক জাকির হোসেন হত্যা মামলা রয়েছে।
এ ব্যাপারে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা জানান, বাহাউদ্দিন খন্দকার আগের ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে কোনো দলীয় পদে নেই।