ধর্ষণের জন্য নারীবাদীদের দুষলেন এমপি বাবলু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২০, ১১:৫১ পিএম

ধর্ষণের জন্য নারীবাদীদের দায়ী করেছেন বগুড়া-৭ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সংসদে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল- ২০০০’ পাসের সময় এবং জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব তোলার সময় এ অভিযোগ তোলেন তিনি।

এমপি বাবলু বলেন, ‘এখানে কী দেখছি মাননীয় স্পিকার, নারীবাদীরা নারী স্বাধীনতার কথা বলে নারীদেরকে উন্মুক্ত করে চলছে। যার কারণেই ধর্ষকেরা ধর্ষণের অনুভূতিকে এতটা একসেপ্ট করেছে যে, ধর্ষণে উৎসাহিত হচ্ছে।’

রেজাউল করিম বাবলু বলেন, ‘আইনটি এখানে উত্থাপন করা হচ্ছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা কী দেখি মাননীয় স্পিকার, করি তো ধূলা দূর, রাজ্য ধূলায় ভরপুর। এত আইন করেছি, কিন্তু শুধুমাত্র সঠিক বাস্তবায়ন, প্রণয়ন ও প্রয়োগের কারণে আমাদের আইনগুলো ভেস্তে চলে যাচ্ছে।’

২০১৩ সালে নারীদের এক ওয়াজ মাহফিলে নারীদের তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করে সমালোচনায় পড়েন হেফাজত ইসলামের প্রয়াত আমির আহমেদ শফী। সংসদে বাবলু সেই ‘তেঁতুল থিওরি’ কাজে লাগানোর কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘‘আমি যেটা বলবো, আমরা ইতোপূর্বে আল্লামা শফী সাহেবকে ‘তেঁতুল হুজুর’ বলে উল্লেখ করেছি মাননীয় স্পিকার। আল্লামা তেঁতুল হুজুরের তেঁতুল থিওরিটাও যদি কাজে লাগানো যেতো, তাহলে ধর্ষকেরা ধর্ষণ থেকে পিছপা হতো। ধর্ষণ থেকে তারা নিরুৎসাহিত হতো। তাদের ভেতরে ধর্মীয় অনভূতি আসতো।’’

‘সুতরাং, এ আইনটি প্রয়োগের আগে আমাদের ধর্ষকেরা যাতে ধর্ষণের কাজে উদ্বুদ্ধ না হয়, তাদের ভেতরে যেন ধর্মীয় অনুভূতি আঘাত করে, একটি মানবতা যেন ক্রিয়েট করে, তারা যেন মনুষ্যত্ব ফিরে পায়, এরকম একটি সিচুয়েশন যদি সমাজে থ্রো করা হয়, তাহলে এত কঠিন আইনের প্রয়োজন হবে না। একটি ফাঁসি কার্যকর করে একটি নাগরিক কমানোর প্রয়োজন হবে না। আমরা চাই, ধর্ষক যেন না হয়। ধর্ষকের সংখ্যা যেন না বাড়ে।’

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh