চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২০, ১১:০২ এএম
মাস্ক না পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনীহা ও শীত মৌসুমের আবহাওয়া করোনাভাইরাস সংক্রমণের অনুকূল হওয়ায় চট্টগ্রামে সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন সংক্রমণের সংখ্যা দেড়শ’রও বেশি।
গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে এক হাজার ৫০১টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬১ জনের। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৩ হাজার ২২২ জন।
গতকাল বুধবার (১৮ নভেম্বর) রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এইদিন কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব ও চট্টগ্রামে আটটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৪ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৪৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হয় ছয়জন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৫ জন করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাব ৫২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
তাছাড়া ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৫ জন, শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ৬০টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ জন এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৮টি নমুনা পরীক্ষা করে পাঁচজন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) পাঁচটি নমুনা পরীক্ষা করে চারজনের করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়।
কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ২২০টি নমুনা পরীক্ষা করে একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় ১৬১ জন নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এইদিন নমুনা পরীক্ষা করা হয় এক হাজার ৫০১টি। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরে ১৩৯ জন ও উপজেলায় ২২ জন।
তিনি বলেন, শনাক্তের সংখ্যা ঊর্ধমুখী। ১৬ নভেম্বর মোট নমুনার প্রায় ১৭ শতাংশ পজেটিভ হয়। গত মাসে দিনে শনাক্তের সংখ্যা একশ’র কাছাকাছি ছিল। যা চলতি মাসে অনেক বেড়েছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যুর হার ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা তেমন বাড়েনি।
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণ হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি না মানাকে দায়ী করে সিভিল সার্জন বলেন, এরজন্য আমরাই দায়ী। স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে সংক্রমণ বাড়ছে। শীতকাল হওয়ায় আর্দ্রতা কমছে। এই আবহাওয়া ভাইরাসের জন্য উপযুক্ত। স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চললে সংক্রমণ কম থাকতো।