বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২০, ১২:৫১ পিএম
শিশু সোহানা
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় সোহানা নামে ১৭ দিনের শিশু হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিশুটির বাবাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- নিহত শিশুর বাবা মোড়েলগঞ্জ উপজেলার গাবতলা গ্রামের সুজন খান (৩০), চাচা রিপন খান (২৪) ও ফুফা হাসিব খান (২৮)।
সুজনের দ্বিতীয় পক্ষের প্রথম মেয়ে সোহানা। গতকাল বুধবার (১৮ নভেম্বর) দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর শিশুটি হত্যা ঘটনায় প্রাথমিক সম্পৃক্ততা পেয়ে পুলিশ তাদের রাতেই এ মামলায় গ্রেফতার দেখায়। তবে কী কারণে শিশুটিকে তারা হত্যা করেছে তা এখনো জানায়নি পুলিশ।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, শিশুটিকে মায়ের কোল থেকে চুরি করে নিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তদন্ত করছে। শিশুটির স্বজনসহ প্রতিবেশী কয়েকজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শিশুটির বাবা, চাচা ও ফুফাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনার সাথে জড়িতদের আদালতে পাঠানো হবে।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ওই তিনজন শিশু সোহানা হত্যার ঘটনায় জড়িত রয়েছে। তাই আমরা এই তিনজনকে শিশু হত্যার ঘটনায় রাতে গ্রেফতার দেখিয়েছি।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির জানান, বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে ১৭ দিন বয়সী শিশু সোহানার লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করার সময় শিশুটির মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আঘাতের কারণে মাথায় রক্তক্ষরণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে পচন ধরায় মনে হচ্ছে- শিশুটিকে তিনদিন আগেই হত্যার পর লাশ পানিতে ফেলে দেয়া হয়।
গত রবিবার রাতে শান্তা-সুজন দম্পতি তাদের শিশু মেয়ে সোহানাকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ১টার দিকে শান্তা ঘুম ভেঙে দেখে বিছানায় শিশুটি নেই। ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় রয়েছে। এরপর থেকে শিশুটিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এঘটনায় শিশুটির দাদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সোমবার রাতে মোড়েলগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
চুরি যাওয়ার তিনদিন পর গতকার বুধবার সকালে জেলে সুজনের বাড়ির পুকুর থেকে সোহানার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।